PEACE MOVEMENT

'গরিব, বঞ্চিতকেও শামিল কর শান্তি আন্দোলনে'

জাতীয়

Aipso bengali news

অনিন্দ্য হাজরা, চণ্ডীগড়

চন্ডীগড়ে শেষ হলো সারা ভারত শান্তি ও সংহতি সংস্থা বা এআইপিএসও'র সর্বভারতীয় সম্মেলন।  সম্মেলন থেকে সর্বসম্মতিক্রমে ৩০ জন পদাধিকারী ও ১১ জনের উপদেষ্টা মন্ডলী নির্বাচিত হয়েছে। 

সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন দু'জন। আরও এক সাধারণ সম্পাদক পরে নির্বাচন করা হবে।

নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি মন্ডলীতে রয়েছেন নীলোৎপল  বসু এবং পল্লব সেনগুপ্ত। সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন আর অরুণ কুমার এবং হরচারন সিং ভাট। 

পশ্চিমবঙ্গ থেকে ডেপুটি জেনারেল সেক্রেটারি পদে নির্বাচিত হয়েছেন অঞ্জন বেরা। সংগঠনের সহ সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন রবীন দেব এবং কুণাল বাগচী। সংগঠনের অন্যতম সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন বিনায়ক ভট্টাচার্য। 

এআইপিএসও সর্বভারতীয় কাউন্সিলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে মোট ১০ জন সদস্য  নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে তিনজন পদাধিকারী। 

অপরদিকে উপদেষ্টা মন্ডলী বা  অ্যাডভাইজারি কমিটিতে রাজ্য থেকে  রয়েছেন জ্যোতিকৃষ্ণ চ্যাটার্জি, রাজীব ব্যানার্জি এবং শ্রীকুমার মুখার্জি।

এদিন প্রতিনিধিদের আলোচনার মাধ্যমে সম্মেলনের কাজ শুরু হয়। পশ্চিমবঙ্গ থেকে চারজন প্রতিনিধি রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক প্রতিবেদনের উপর আলোচনা করেন। ২১ টি রাজ্যের মোট ৩৩ জন প্রতিনিধি খসড়া প্রতিবেদনের উপর আলোচনা করে। 

জবাবি ভাষণে বিগত কমিটির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক আর অরুণ কুমার বলেন, সমাজের সব থেকে দুর্বল  অংশ, যে অংশের কাছে শিক্ষার আলো পৌঁছয়নি এখনো, তাদের কাছে শান্তি আন্দোলনের গুরুত্ব তুলে ধরতে হবে। সেমিনার এবং উচ্চ শিক্ষিতের ড্রয়িং রুম থেকে বের করে শান্তি আন্দোলনকে পৌঁছে দিতে হবে গ্রামের অত্যন্ত প্রান্তে। নিয়মিত সদস্য সংগ্রহ করতে হবে। একইসঙ্গে সংগঠনে মহিলা এবং যুবসমাজের অংশীদার ঐ অংশীদারিত্ব বাড়াতে হবে।  সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের প্রশ্নও তিনি জোর দেন। 

অরুণ কুমারের পরে বক্তব্য রাখেন পল্লব সেনগুপ্ত। স্বল্প সময়ের বক্তব্যের মধ্যেই তিনি আয়-ব্যয়ের রিপোর্ট পেশ করেন। এরপরই  প্রস্তাবিত কমিটি পেশ করেন পল্লব সেনগুপ্ত। 

অরুণ কুমার এবং পল্লব সেনগুপ্ত ছাড়াও বিগত কমিটির অপর সাধারণ সম্পাদক ইয়াদাভা রেড্ডি বক্তব্য রাখেন।

Comments :0

Login to leave a comment