পুলিশী ঘেরাটোপের মধ্যে সাধারণ এক ব্যবসায়ীকে হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
ঘটনার সুত্রপাত বৃহস্পতিবার রাতে। চারিদিকে লাগানো সিসিটিভি, রয়েছে পুলিশের ক্যাম্প। গেটে মজুদ প্রহরী তবুও কি করে হাসপাতালের ভেতরে পেট্রোল দিয়ে আহত রোগীর গায়ে আগুন লাগানোর চেষ্টা। উঠছে প্রশ্ন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাতে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায় রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে।
ঘটনায় দুইজনকে রাতেই আটক করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম প্রকাশ হালদার এবং রামপ্রসাদ দাস।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় মারামারির পর সুরজিৎ দাস গুরুতর জখম অবস্থায় রায়গঞ্জ মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল চত্ত্বরের মধ্যেই স্কান করে ফেরার পথে হাসপাতালের সিড়ির কাছে ধৃত রাম প্রকাশকে দেখে সুরজিৎ স্টেচারে শুয়েই প্রশ্ন করেন তোরা কেন এভাবে মারলি? অভিযোগ প্রশ্ন করতেই হটাৎ পেটের ভেতর থেকে পেট্রোলের বোতল বের করে চিকিৎসাধীন সুরজিৎ’র গায়ে ছিটিয়ে দিয়ে দেশলাই জ্বালিয়ে মারার চেষ্টা করে। প্রাণভয়ে সে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তাঁর স্ত্রী এবং শাশুড়ী চিৎকার করলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। ঘটনার জেরে নার্স ও রোগীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হুলুস্থুল কান্ড বেধে যায় সার্জিক্যাল ওয়ার্ড চত্বরে।
সুরজিৎ দাসের মামা ছোটন দাস জানান,‘‘ প্রকাশ হালদারের কাছে ভাগ্না টাকা পেতো। সেই পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে বচসা শুরু হয়। সুভাষগঞ্জ এলাকায় হঠাৎ তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে রামপ্রসাদ দাস নামে এক অভিযুক্ত সুরজিত দাসের উপর চড়াও হয়। বেধড়ক মারধর করে। মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। এরপর সুতজিত দাসকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযুক্তরা হাসপাতালেও ঢুকে পেট্রোল নিয়ে এসে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। সার্জিক্যাল ওয়ার্ড থেকে পালিয়ে কোনো মতে বাঁচে।’’
পুলিশ অভিযুক্তদের আটক করেছে। হাসপাতালের মধ্যে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা সত্বেও কিভাবে ওই দুই অভিযুক্ত পেট্রোল নিয়ে প্রবেশ করলো তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
Raiganj
হাসপাতালের মধ্যেই রোগীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা!
×
Comments :0