Ayodhya Dalit Woman Murder

অযোধ্যায় দলিত যুবতী হত্যা, হাত গুটিয়ে থেকে এখন গ্রেপ্তারির দাবি পুলিশের

জাতীয়

নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পরে দেহ খুঁজে বের করতে হয়েছিল পরিবারকেই। পরিবারই সামনে এনেছিল জঘন্য হত্যাকাণ্ডকে। প্রবল সমালোচনার, সোমবার, মুখে দলিত যুবতী হত্যাকাণ্ডে ৩ জনকে হেপাজতে নেওয়ার দাবি জানালো অযোধ্যার পুলিশ।
উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় এই দলিত যুবতীকে কেবল হত্যাই করা হয়নি। তাঁর বিবস্ত্র দেহে ছিল অসংখ্যা আঘাতের চিহ্ন। চোখ উপড়ে নেওয়া হয়েছে।
পরিবার জানিয়েছে, ২৭ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই যুবতী। তাঁর দেহের খোঁজ মেলে গত শনিবার। শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি পাোয়া যায় দেহ। স্থানীয় একটি খালের ধার থেকে মিলেছিল বাইশ বছরের ওই যুবতীর দেহ।
পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে সরব পরিবার। সরব হয়েছে উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন অংশ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকার অপরাধীদের এনকাউন্টার করে সমস্যা মেটানোর দাবি করে আসছে। যত এই দাবি হচ্ছে, পাল্লা দিয়ে রাজ্যে তত বাড়ছে অপরাধ। 
সোমবার উত্তর প্রদেশের নাগিনার সাংসদ চন্দ্রশেখর আজাদ সংসদে আম্বেদকর মূর্তির নিচে বসে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বিরোধী সমাজবাদী পার্টিও সরব। ২৭ জানুয়ারি পুলিশে জানানো সত্ত্বেও কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেই প্রশ্নের জবাব বিজেপি এখনও খুঁজে পায়নি। 
আজাদ সমাজ পার্টি (কাশীরাম)’র সভাপতি সাংসদ আজাদ সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, টানা তিনদিন পুলিশ আসলে কিছুই করেনি। পরিবারকেই দেহ খুঁজে বের করতে হয়েছে। 
রবিবার ফৈজাবাদের সাংসদ অবদেশ প্রসাদ ঘটনার কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। সমাজবাদী পার্টির এই নেতা বলেছেন প্রধানমন্ত্রীকে জবাবদিহি করতে হবে। বিচার আদায় না করতে পারলে সাংসদ পদ ছেড়ে দেব। 
সোমবার গ্রেপ্তারির দাবি জানালেও অপরাধীদের সম্পর্কে বিশদ তথ্য পুলিশ জানায়নি।

Comments :0

Login to leave a comment