MD SALIM TRIPURA

দেশের স্বার্থেও হারাতে হবে বিজেপি’কে: ত্রিপুরায় জনসভায় সেলিম

জাতীয়

শুক্রবার সাব্রুমের মনুবাজারে বামফ্রন্টের সমাবেশে মহিলাদের ঢল।

গোটা দেশে বিজেপি বিরোধী শক্তিকে এক জায়গায় আনতে চেষ্টা করছে বামপন্থীরা। ত্রিপুরায় আইনের শাসন ফেরাতে, গণতন্ত্র ফেরাতে এক জায়গায় এসেছে বিরোধীরা। সারা দেশ তাকিয়ে আছে ত্রিপুরার দিকে। বিজেপি’কে পরাজিত করতে হবে। 

শুক্রবার ত্রিপুরায় নির্বাচনী প্রচারে এই আহ্বান জানিয়েছেন সিপিআই(এম) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য সেলিম বলেছেন, ‘‘এক বছর বাদে দেশের ভোট। বিজেপি’র সঙ্গীরা একে একে সরে যাচ্ছে। আর বামপন্থীদের পাশে শক্তির যোগ হচ্ছে। ত্রিপুরায় কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে এই লড়াইয়ে নেমেছে বামপন্থীরা।’’ তিনি বলেন, ‘‘কেবল ত্রিপুরা নয়, দেশের স্বার্থেও হারাতে হবে বিজেপি’কে।’’

এই ত্রিপুরায় বামফ্রন্ট সরকারের মেয়াদে বছরে কাজের দিনে রেগায় নজির গড়েছিল এখন তা নেমে এসেছে ৮ দিনে। বনাঞ্চলের জমির পাট্টায় নজির ছিল বন্ধ হয়েছে। কাজ নেই। সিপিআই(এম)’র প্রচারে তা উঠে এসেছে। প্রচার করছেন সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাত, ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি, এসএফআই নেত্রী দীপ্সিতা ধরও। 

এদিন পানিসাগরে নির্বাচনী সভায় সেলিম বলেছেন, ‘‘বুলডোজার দিয়ে পার্টি দপ্তর গুঁড়িয়ে দিয়ে, তাপস সূত্রধরের মতো নেতাকে খুন করে লাল ঝান্ডাকে শেষ করে দেবে ভেবেছিল বিজেপি। হয়নি। 

তিনি বলেছেন, ‘‘২০১৪’তে একের পর এক মিথ্যা বলে মানুষকে ধোঁকা দিয়েছিল বিজেপি। ২৯৯টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এখন মানুষ ভাঁওতা ধরে ফেলেছেন।’’

এদিনই পার্টির ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেছেন, ‘‘উন্নয়ন হয়নি, গণতন্ত্র এবং শান্তি না থাকলে উন্নয়ন হয় না। একদিকে বিজেপি, আরেকদিকে আমরা সবাই। সন্ত্রাসে গণতান্ত্রিক কার্যকলাপ বন্ধ ছিল এমন জায়গাতেও প্রচার হচ্ছে। মানুষ পাশে রয়েছেন বলেই তা সম্ভব হয়েছে।’’ 

২৯৯টি প্রতিশ্রুতির কয়েকটি উল্লেখ করে চৌধুরী বলেন, ‘‘সপ্তম বেতন কমিশন হয়নি। ডিএ অর্ধেকের বেশি বাকি। শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। কলেজ, স্কুল হাসপাতাল- কোনও প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি।’’ 

সেলিম বলেছেন, ‘‘অমিত শাহ এসে বলেছিল মিস কলে চাকরি হবে। হওয়ার কথা ছিল না হয়নি। তখন কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রীকে দিয়ে বলেছিল টাকার জোগান হবে। পাঁচ বছর বাদে আর অর্থ মন্ত্রীকে আনার সাহস দেখাতে পারছে না। দেশ চৌপাট করেছে এই শক্তি। রাজ্যেরও সর্বনাশ করেছে। ভোটের আগে মিথ্যার বাতাবরণ তৈরি করে মানুষকে ধোঁকা দেয় বিজেপি।’’ 

তিনি বলেন, ‘‘বামপন্থীরা মানুষের সঙ্গে মিথ্যাচার করে না। যা করা সম্ভব তা-ই বলে। সরকারের টাকা কোনও মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর না। মানুষের টাকা, কষ্টের উপার্জন থেকে দেওয়া করের টাকা। সেই টাকায় এরা আদানি-আম্বানির সেবা করছে। আর বিশ্ব দেখছে আদানিরা কতো বড় লুটেরা।’’ 

 

Comments :0

Login to leave a comment