MD SALIM AT HOOGHLY

লোক হচ্ছে না, ঝান্ডা চুরি করছে বিজেপি: মহম্মদ সেলিম

রাজ্য

AGRI WORKERS CONFERENCE IN HOOGLY শনিবার পান্ডুয়ায় খেতমজুর সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন মহম্মদ সেলিম।

পঞ্চায়েত থেকে লুটেরাদের তাড়িয়ে মানুষের পঞ্চায়েত গড়ে তুলতে সবাইকে এককাট্টা হয়ে লড়াই করতে হবে। বাংলার ভবিষ্যৎ বাংলার মানুষ ঠিক করবেন। বাংলার মানুষ মানে, হিন্দু  মুসলমান, আদিবাসী, রাজবংশী ও তফসিলি সবাইকে একসঙ্গে লড়তে হবে। লালঝান্ডা সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে।  
শনিবার সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের হুগলী জেলা দ্বিতীয় সম্মেলনে পান্ডুয়ায় প্রকাশ্য সমাবেশে এ কথা বলেন সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সদস্য ও রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, এতদিন দেখতাম তৃণমূল-বিজেপি আমাদের স্লোগান চুরি করছে। এখন দেখছি আমাদের ঝান্ডা চুরি করছে। কারণ বিজেপির সভায় এখন লোক হচ্ছে না, তাই নাটক করছে। তৃণমূল-বিজেপির মিছিলে যারা থাকে তাদের টাকা দিয়ে কেনা যায়। কিন্তু লাল ঝান্ডাকে কেনা যায় না। কেউ যাতে প্রতিবাদ না করতে পারে সেই উদ্দেশ্যে লাল ঝান্ডাকে তৃণমূল-বিজেপি হটাতে চাইছে। 

 

 


হুগলীতেই বিজেপি’র মিছিলে লালঝান্ডার ছবি দিয়ে সংবাদমাধ্যমে ‘বোঝাপড়া’ তত্ত্বের প্রচার হয় শুক্রবার। সিপিআই(এম) সপ্ষ্ট করে জানিয়েছে পার্টির কেউ হাঁটেননি ওই মিছিলে। বিভ্রান্তি তৈরি করতে রাস্তায় লাগানো পতাকা খুলে কয়েকজনকে ধরিয়ে মিছিল করেছে বিজেপি। পার্টির জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বিজেপি’র রাজনীতির কড়া নিন্দাও করেছেন।  
পান্ডুয়া শান্তিনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এই সমাবেশ হয়। গোটা হুগলী জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অগণিত খেতমজুর এই সমাবেশে যোগ দেন।  মহিলাদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য।  
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন খেতমজুর ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদক অমিয় পাত্র, হুগলী জেলা সম্পাদক রামকৃষ্ণ রায়চৌধুরী এবং প্রাক্তন বিধায়ক ও খেতমজুর নেতা আমজাদ হোসেন। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের জেলা সভাপতি গণেশ মান্ডি। 

 


সেলিম বলেন, চোরেদের রক্ষা করছে এ রাজ্যের পুলিশ। দিল্লিতে যখন সিএএ, এনআরসি চলছে তখন মিথ্যে মামলা চাপিয়ে জামিয়া সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদী ছাত্রছাত্রীদের নামে মিথ্যে মামলা করা হয়। এ রাজ্যে তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই মিথ্যে মামলা দেওয়া হচ্ছে।  
কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহার পর্যন্ত আমাদের কর্মীরা খুন হয়েছে। হাজারো এফআইআর করা হয়েছে। পুলিশ একটিরও ব্যবস্থা নিয়েছে? নেয়নি।   

সমাবেশ শেষে সম্মেলনের প্রতিনিধি অধিবেশন সন্ধ্যায় শশী ভূষণ সাহা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে। শোক প্রস্তাব পাঠ করেন গণেশ মান্ডি। সম্মেলন উদ্বোধন করেন রাজ্য সম্পাদক অমিয় পাত্র।  সম্মেলনে  প্রতিনিধি  ও দর্শক নিয়ে মোট  ২৭৬ জন অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে মহিলা প্রতিনিধি ৪৪ জন। সম্মেলন শেষ হবে রবিবার।  
 

Comments :0

Login to leave a comment