BOLSA FAMILIA

খিদের দেশে থাকবে না কেউ,
‘বোলসা ফ্যামিলিয়া’ ব্রাজিলে

আন্তর্জাতিক

BOLSA FAMILIA সরকারি অনুষ্ঠানে লুলা ডা সিলভা।

ন্যূনতম সহায়তা যাতে কেউ যেন খিদে নিয়ে ঘুমাতে না যায়। সেই লক্ষ্য জানিয়ে ব্রাজিলে চালু হলো ‘বোলসা ফ্যামিলিয়া’। বামপন্থী রাষ্ট্রপতি লুলা ডা সিলভা চালু করেছেন প্রকল্প। 

‘বোলসা ফ্যামিলিয়া’ মানে পরিবারের তহবিল। 

গরিব পরিবারে মাসে ১১৫ মার্কিন ডলারের সমান অর্থ পৌঁছে দেবে সরকার। উপভোক্তাদের জন্য চালু হয়েছে কার্ড। অর্থ পৌঁছাবে ব্যাঙ্কে। ভারতীয় মুদ্রায় এই মাসিক সহায়তার মূল্য ৮ হাজার টাকার কিছু বেশি। 

লুলা বলেছেন, ‘‘এই প্রকল্প সরকার ঘোষণা করেছে ঠিক। অর্থও বরাদ্দ করেছে। কিন্তু প্রকল্প সরকারের নয়। প্রকল্প গোটা সমাজের।’’ তাঁর আহ্বান, ‘‘কেবল সরকারি নজরদারিতে এই প্রকল্প সফল হবে না। দরকার সামাজিক নজরদারি। সংবাদমাধ্যম, সামাজিক সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন, স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান- প্রত্যেকের নজরদারি দরকার।’’ 

নজরদারি কেন?

লুলা বলেছেন, ‘‘সত্যিই গরিবের কাছে অর্থ পৌঁছাচ্ছে কিনা নিশ্চিত করা দরকার। দেখতে হবে ভুল তালিকা যেন না থাকে। তা কেবল সরকারি নিয়মবিধি ঘেরাটোপে হবে না। সমাজকে, জনতাকে দায়িত্ব নিতে হবে।’’ 

সরকারের লক্ষ্য ক্ষুধার্ত ৩ কোটি ৩০ লক্ষ ব্রাজিলিয়কে দারিদ্রের স্তর থেকে তুলে আনা। মোট বরাদ্দ অর্থ ব্রাজিলের জাতীয় উৎপাদনের ১.৫ শতাংশ। 

লুলা বলেছেন, ‘‘এই প্রকল্প ব্রাজিলের সব সমস্যা মিটিয়ে দেবে না। দেশের অর্থনীতিতে গতি আনতেই হবে। যাতে মজুরির স্তর বাড়ে। যাতে মজুরি অন্তত ততটা হয় যা দিয়ে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারে প্রতিটি পরিবার।’’ 

সরকারি নথিতে জানানো হয়েছে সব মিলিয়ে ৬ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছাবে এই ন্যূনতম সহায়তা। 

 

২০০৩ থেকে ২০১০ পর্বে প্রথম দফায় রাষ্ট্রপতির মেয়াদে এমন প্রকল্প ছিল লুলার। দারিদ্রের দেওয়ালে ধাক্কা দিতে পেরেছিল ব্রাজিল। যদিও প্রয়োগ ঘিরে বামপন্থী এবং সমমনোভাবাপন্ন বিভিন্ন অংশে নানা মত ছিল। লুলা এবারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ঘোষণা করেছিলেন সুযোগ পেলে ফিরিয়ে আনবেন সেই প্রকল্প।

Comments :0

Login to leave a comment