বই
দিনাজপুর জেলার কমিউনিস্ট আন্দোলন
প্রদোষকুমার বাগচী
মুক্তধারা
বাংলার কমিউনিস্ট আন্দোলনের ইতিহাস রচনা করতে গেলে জেলার কমিউনিস্ট আন্দোলনের ইতিহাস থাকা দরকার।
দু’একটি জেলায় সে কাজ কেউ কেউ করেছেন। কোথাও পার্টির উদ্যোগে কমবেশি কাজ হয়েছে। কোথাও হয়নি বললেই
চলে। অনেকেই জানেন যে রাজ্যগতভাবে সিপিআই ও সিপিআই (এম) যথাক্রমে ১৫ ও ৫ খণ্ডে বাংলায় কমিউনিস্ট
আন্দোলনের দলিল প্রকাশ করেছে। কিন্তু কমিউনিস্ট আন্দোলনের ইতিহাস তৈরি হয়নি। জেলাগুলি উদ্যোগী হলে সেকাজ
কিছুটা ত্বরান্বিত হতে পারে। সম্প্রতি সেই কাজটিই করেছেন দিনাজপুর জেলার ভানুকিশোর সরকার ও কৃষ্ণা সেনগুপ্ত।
তাঁরা উভয়েই জেলার গণআন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। বর্তমানে উভয়েই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। তাঁরা যে কাজ করেছেন তা থেকে
দিনাজপুরের কমিউনিস্ট আন্দোলনের ইতিহাসের বেশ কিছু উপাদান পাওয়া যাবে। এই জেলায় ১৯৩৯থেকে ১৯৪০
সালের কোনও এক সময়ে পার্টি ইউনিটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ১৯৪২ সালের ডিসেম্বরে জেলা সম্মেলনের মধ্য দিয়ে
দিনাজপুর জেলার কমিউনিস্ট সম্পাদক হন সুশীল সেন। স্বাধীনতার প্রেক্ষাপটে দিনাজপুরের বিভাজন হয়েছে বাংলা ভাগের
মধ্য দিয়ে। আরও পরে ১৯৯২ সালে পশ্চিম দিনাজপুরের জেলারও বিভাজন ঘটে। এই সব ঘটনাবলীর মধ্যে কমিউনিস্ট
আন্দোলনও প্রসারিত হয়েছে সময়ের সঙ্গে তাল রেখে। অনেক দলিল আজ হারিয়ে গেছে। গণআন্দোলনের প্রত্যক্ষদর্শীদের
অনেকে আজ নেই। এই অবস্থায় জেলার কমিউনিস্ট আন্দোলনের ইতিহাসের অমূল্য দলিল ও যেখানে যতটুক মালমশলা
আছে তা সংগ্রহের কাজ কম কথা নয়। জেলার আনাচকানাচ অনুসন্ধান করে লেখা হয়েছে বইটি। অটিটি পর্বে বইটি
বিন্যস্ত হয়েছে। বইটির ভুমিকা লিখে দিয়েছেন গণআন্দোলনের বিশিষ্ট নেতা অম্বর মিত্র। বাংলার কমিউনিস্ট আন্দোলন
নিয়ে উৎসাহী মানুষ বইটি থেকে উপকৃত হবেন।
দিনাজপুর থেকে উত্তর দিনাজপুর : কমিউনিস্ট আন্দোলনের পরিক্রমা।
ভানুকিশোর সরকার, কৃষ্ণা সেনগুপ্ত। একুশ শতক। ১৫ শ্যামাচরণ দে স্ট্রিট। কলকাতা—৭০০ ০৭৩। ২০২৩। ৭৫০ টাকা।
Comments :0