NATUNPATA BOOK REVIEW CHINER GOLPO

বইকথা চীনের রূপকথা / প্রদোষকুমার বাগচী

ছোটদের বিভাগ

BOOK REVIEW CHINER GOLPO

চীনের রূপকথা
 

প্রদোষকুমার বাগচী
 

তোমাদের জন্য এবার নতুন রূপকথার সম্ভার নিয়ে এলাম। তোমরা যদি জানতে যে রবীন্দ্রনাথ বা বিবেকানন্দ বা সুভাষকে তাঁদের ঠাকুমারা কোন ধরনের রূপকথার গল্প শুনিয়ে তাঁদের ঘুম পাড়াতেন তাহলে কি মজাই না হতো!  তাহলে  
আজকের ঠাকুমারাও তোমাদের টিভির সামনে না বসিয়ে সেই সব গল্পই শোনাতেন। 
রূপকথার গল্প কিন্তু সবদেশেই প্রচলিত আছে। এবার তোমাদের জন্য এনেছি চীনের রূপকথা। তোমাদের কথা ভেবে একেবারে চীনা ভাষা থেকে সরাসরি বাংলায় গল্পগুলি অনুবাদ করেছেন প্রশান্ত কোলে। তিনি নিজে ভালো ছবিও  
আঁকেন।  ১২ টি গল্প আছে বইটিতে।  কয়েকটি গল্পের নাম বলছি— শিকারি হাই লি পু, সবুজ টিয়া, সাদা ঘোড়া, দুই ভাই ইত্যাদি। আর তার সঙ্গে চমৎকার সব ছবি।
প্রথম গল্পে আছে হাই লি পু নামে এক শিকারির কথা। সে জীবজন্তু শিকার করতো। প্রতিবেশীদেরও ভাগ দিত। তাই সকলে তাকে খুব ভালোবাসতো। একদিন হাই লি পু গেছে পাহাড়ি জঙ্গলে শিকারের খোঁজে। একটি বাচ্চা সাপ দেখে  
তার মায়া হলো। সে তাকে শিকার করলো না। কিন্তু একটি ঈগল এসে যখন তাকে তুলে নিয়ে গেল হাই লি পু তীর ছুড়ল। এতে ঈগলটা সাপটাকে ছেড়ে দিল। এই সাপটাই ছিল ড্রাগন রাজার কন্যা। তাকে বাঁচানোর জন্য ড্রাগনরাজ  
তাকে তার মুখের ভিতরে রাখা একটি পাথর দিয়েছিল। পাথরের গুণে সে এখন সব জন্তু জানোয়ারের কথা বুঝতে পারে। কে কোথায় আছে, কি করছে। এতে তার অনেক সুবিধা হলো। কিন্তু একথা সে কাউকে বলতে পারবে না। এই ছিল  
শর্ত। কারণ বললে সে পাথর হয়ে যাবে। 
 

 

শিকার করতে গিয়ে একদিন সে শুনলো একটা পাখি আর একটা পাখিকে বলছে, আগামীকাল এই বড়ো পাহাড়টা ভেঙ্গে পড়বে আর ভয়ঙ্কর বন্যা হবে। গ্রামের মানুষ না পালালে সব মারা পড়বে। এই কথা শুনে শিকার ছেড়ে গ্রামে গিয়ে  
হাই লি পু সকলকে পালিয়ে যেতে বলল। কিন্তু তারা বিশ্বাস করলো না তার কথা। তখন সে ভাবলো সত্য কথা বললে আমি পাথর হয়ে যাবো। নাহলে এতগুলো লোকের প্রাণ যাবে। 
এখন প্রশ্ন, সে কি সত্য কথা বলবে? নাকি বলবে না? লোকেরা কি মারা যাবে,  নাকি সে পাথর হয়ে যাবে? সেকথা জানতে হলে বইটি এবার হাতে তুলে নিতে হবে। বাকী গল্পগুলোও চমৎকার। সুন্দর সুন্দর ছবিও আছে। এবার বইটি হাতে  
নিয়ে দেখ তো তোমাদের পছন্দ হয় কিনা। 
চীনের রূপকথা। অনুবাদ প্রশান্ত কোলে। অন্য প্রমা। ৭৫, যোধপুর পার্ক, কলকাতা-৬৮। ১৫০ টাকা।

 


 

Comments :0

Login to leave a comment