নতুনপাতা
বইকথা
তোমাদের জন্য নতুন বই
সুস্থ থাকো দেহে ও মনে
প্রদোষকুমার বাগচী
তোমাদের জন্য অনেক ধরনের বইয়ের কথা আমি তোমাদের বলেছি। এবারের বই একটি অন্য ধারার বই। তোমরা অবাক হয়ে যাবে। একা পড়তে পারো। আবার অনেকে মিলেও পড়তে পারো। এমনকি তোমরা বইয়ের বিষয় নিয়ে একটি নাটিকাও মঞ্চস্থ করতে পারো। নাটিকাটির নাম জয় হোক।
আজ যখন আমরা এগিয়ে যাওয়ার কথা বলি তখন আমরা কতো ভাবে যে নিজেদের পেছন দিকে টেনে রাখি তার ইয়ত্বা নেই। আমরা যখন বিপদে পড়ি তখন আমরা কেউ কেউ মৌলভী তান্ত্রিকদের ডেকে আনি। এমনকি নিজের ছেলে মেয়ে আত্মীয়রা যাদের আমরা প্রাণের চেয়েও ভালোবাসি তারা অসুস্থ হলে ঝারফুঁক, টোটকা, জল-পড়া করে তাদের বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করি। অন্ধ বিশ্বাস, কুসংস্কারের কারণে ডাক্তার ছেড়ে তান্ত্রিকদের এনে বসাই বলেই এই ঘটনা ঘটে। কিন্তু এতে লাভ হয় মৌলভীদের। অসুস্থ ছেলে বা মেয়েটা আর ভালো হয়ে ওঠে না। শেষে ডাক্তার ডাকলেও আর বাঁচানো যায় না। এই কথাগুলোই ছোট্ট একটি নাটিকার মধ্যে তুলে ধরা হয়েছে ছড়ার আকারে। অপূর্ব লেখাটি।
চরিত্র লিপিতে রয়েছে— অসুস্থ মেয়ে : সালমা খাতুন, মা : ফারহানা বিবি, বাবা : শেখ কুতুবুদ্দিন, মাসি : ফিরোজা বিবি, সালমার ভাই : শেখ সামসুদ্দিন, মাস্টারমশাই : নুরুল , হেলথ ওয়ার্কার : নার্গিস, ডাক্তার : উত্তম সাহা, শ্যামলবাবু, বরুণকাকু, তান্ত্রিক ও মৌলভী।এক এক জন এক এক রকম চরিত্রে অভিনয় করবে। সালমাদের বাড়ির বারান্দা ও উঠোনে নাটক চলছে। তৃতীয় দিনের দুপুরে যখন সালমা খাতুন খুব অসুস্থ তখনই এল মৌলভী। মেয়ে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ল। পরে তান্ত্রিক এসে তার আরও খারাপ অবস্থা করে দিলো। শেষে মাস্টারমশাই নিয়ে এলেন ডাক্তার। ডাক্তার বললেন রোগ কেবল দেহে হয় না, মনেও হয়। সেটা সেরেও যায়। এই শুনে মেয়েটি আস্তে আস্তে উঠে বসে। সকলে তখন বুঝতে পারে ডাক্তার কেন ডাকতে হয়। অসম্ভব ভালো ও প্রয়োজনীয়, শিক্ষামূলক, চেতনা সৃষ্টিকারী এই নাটিকা পড়লে তোমাদের অবশ্যই ভালো লাগবে। তোমরা বড়দেরও পড়াতে পারো। এমনকি নাটকও মঞ্চস্থ করতে পার। সেকথা তো আগেই বলেছি। তেমন যদি সত্যই হয় আমিও যাব তোমাদের কাছে তোমাদের নাটক দেখতে। তোমরা ভালো থেকো, সুস্থ থাকো। কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াইটা এখন থেকে তোমাদেরই লড়তে হবে যে।
এবার বইটির নামধাম বলে দিই—
জয় হোক
আব্দুল মান্নান চৌধুরী। শব্দযান। ১০ চিত্তরঞ্জন পার্ক, ৪র্থ তল, ফ্ল্যাট নং -৯। কলকাতা—৩২। ৪৫ টাকা।
Comments :0