সম্মেলনে খসড়া রাজনৈতিক সাংগঠনিক প্রতিবেদন পেশ করেছেন পার্টির রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থীদের দুর্বল করার জন্য তৃণমূলকে মদত দেওয়া সাম্রাজ্যবাদী প্রকল্পের অংশ। লাল হটাও বলে বামপন্থীদের দুর্বল করতে তাদের কাছে নানা জায়গা থেকে অর্থ এসেছিল।
সেলিম এই প্রসঙ্গেই বলেন, গণতন্ত্র রপ্তানির নামে বামপন্থীদের দুর্বল করতে এভাবে বিদেশ থেকে আর্থিক মদত জোগানোর বিরোধিতা আমরা কমিউনিস্টরা বরাবর জোর গলায় করে এসেছি। তিনি বলেন, বামপন্থীরা দুর্বল হলে ঢেঁকির উল্টোদিকে দক্ষিণপন্থীরা সবল হয়। এভাবেই ভারতের বুকে দক্ষিণপন্থার বিপদ পাখা মেলছে।
সেলিম বলেন, পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের মতো এই বিপদকে ভারতীয় উপমহাদেশে আমরা কায়েম হতে দিতে পারি না।
পশ্চিমবঙ্গের গরিব প্রান্তিক মানুষের বিপন্নতা উল্লেখ করে সেলিম বলেছেন, শিক্ষাক্ষেত্রে ড্রপ আউট, বেকারি, ফসলের দাম না পাওয়া, পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে চলে যাওয়া- এই সব ক্ষেত্রে আমরা বামপন্থীরা কেবল প্রতিক্রিয়া দেখানোর কাজে আবদ্ধ থাকব না। আমরা বাম বিকল্প নিয়ে ইতিবাচক হস্তক্ষেপের জন্য আন্দোলনের কর্মসূচি নেবো। সেলিম বলেন, প্রান্তিক মানুষের সঙ্গে বিশেষত গ্রামীণ গরিবের সঙ্গে জীবন্ত সংযোগ স্থাপন করে লড়াই তীব্র করে তুলব। মিথ্যা মামলা, হামলা, জেল ইত্যাদির মধ্যেও পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থী কর্মীরা লড়াই করছেন। এই সম্মেলনে আলোচনার পর আমরা আরও তীব্র আন্দোলনের কর্মসূচি নেব।
পাশাপাশি, সময়ের উপযোগী পার্টি সংগঠন গড়ে তোলার জন্য নতুন প্রজন্মের কর্মীদের অন্তর্ভূক্ত করে, নেতৃত্বে তুলে এনে, পার্টিকে নিষ্ক্রিয়তামুক্ত সংগ্রামের হাতিয়ার হিসাবে জনগণের সামনে উপস্থাপিত করার আহবান জানিয়েছেন সেলিম।
রাজ্য সম্মেলনে সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সদস্য মানিক সরকার, বৃন্দা কারাত, সূর্য মিশ্র, এম এ বেবি, তপন সেন, অশোক ধাওয়ালে, নীলোৎপল বসু, রামচন্দ্র ডোম প্রমুখ নেতৃবৃন্দও উপস্থিত রয়েছেন। রামচন্দ্র ডোম, অমিয় পাত্র, নিরাপদ সর্দার, সমন পাঠক ও জাহানারা খানকে নিয়ে গঠিত সভাপতিমন্ডলী সম্মেলন পরিচালনা করছেন।
CPI-M State Conference
খসড়া প্রতিবেদন পেশ করে সময়োপযোগী সংগঠন গড়ার আহ্বান সেলিমের

×
Comments :0