KERALA BLAST CPI(M) CC

কেরালায় বোমা বিস্ফোরণের তীব্র নিন্দা কেন্দ্রীয় কমিটির, আহ্বান সংহতির

জাতীয়

কালমাসেরির হাসপাতালে পিনারাই বিজয়ন।

কেরালায় বোমা বিস্ফোরণের তীব্র নিন্দা করেছে সিপিআই(এম)। কেরালার সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক সংহতিতে আঘাত করছে যে শক্তি তাকে প্রতিহত করার ডাক দিয়েছে সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটি।

কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সমাপ্ত বৈঠকের পর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘এর্নাকুলামে কনভেনশন সেন্টারে বোমা বিস্ফোরণের তীব্র নিন্দা করা হচ্ছে। তিনজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। রাজ্য পুলিশ এক সন্দেহভাজনকে আটক করেছে। এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সংবাদমাধ্যমে এ সম্পর্কে যে বিবৃতি দিয়েছেন তার নিন্দা করা হচ্ছে। ঘটনা না জেনেই কেরালার জনগণকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক প্রচার চালিয়েছেন। কেরালার জনগণের অতুলনীয় সামাজিক এবং সাম্প্রদায়িক সংহতির ঐতিহ্য রয়েছে। এই ঐতিহ্যকে যারা আঘাত করতে চায় তাদের রুখে দেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে কেরালার জনগণের কাছে।’’

রবিবার এর্নাকুলামে কোচির কাছে কালমাসেরিতে জিহোভা ধর্মীয় গোষ্ঠীর উইটনেস সেন্টারে একাধিক বিস্ফোরণ হয়। সোমবার বিকেল পর্যন্ত ৩ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। বিস্ফোরণের পরপরই সঙ্কটের সময়ে বিভাজন তৈরির জন্য বিবৃতি দিতে শুরু করে বিজেপি। দলের আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য ঘটনার সঙ্গে গাজার যুদ্ধকে জড়িয়ে দেন। প্যালেস্তাইনে ইজরায়েলের হামলার বিরোধী অবস্থান নিয়েছে সিপিআই(এম)। বিজেপি বলতে থাকে যে সিপিআই(এম) গাজার যু্দ্ধ নিয়ে বেশি চিন্তিত। হামাসকে সমর্থন করছে সিপিআই(এম)। অথচ রাজ্যে নাশকতা চলছে। 

সিপিআই(এম) যদিও সেদিনই মনে করিয়ে দিয়েছে যে গাজায় যুদ্ধবিরতির পক্ষে খোদ রাষ্ট্রসঙ্ঘে পাশ হয়েছে প্রস্তাব। বিজেপি সরকারের অবস্থানের কারণে ভারত ভোট দেয়নি। কিন্তু, ১৯৩টি দেশের মধ্যে ১৪০টি দেশই সমর্থন জানিয়েছে।

সোমবার দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, কেরালায় বোমা বিস্ফোরণে সন্দেহভাজনকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৩ জন নিহত হয়েছেন এখন পর্যন্ত। কয়েকজন গুরুতর অবস্থায় ভর্তি হাসপাতালে। রাজ্য সরকার আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি পরিজনদের। রাজ্য সরকার সতর্ক রয়েছে। 

সোমবার কালমাসেরিতে জামরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে যান কেরালার মুখ্যমন্ত্রী এবং সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সদস্য পিনারাই বিজয়ন। নিহতদের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। স্থানীয় মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে গিয়ে আহতদের চিকিৎসার সম্পর্কে বিশদে খোঁজ নেন।

বিজয়ন বলেছেন, ‘‘দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত চলছে। একতা এবং সংযম বজায় রেখে পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। অপ্রয়োজনীয় বিতর্ককে দূরে সরিয়ে রাখা দরকার এ সময়ে।’’

Comments :0

Login to leave a comment