যুবক-যুবতীকে রাস্তায় ডেকে সালিশী সভা বসিয়েছিল দুষ্কৃতী। শাস্তিও দিয়েছিল সঙ্গে সঙ্গে। লাঠিগাছা দিয়ে রাস্তায় ফেলে মার। চারপাশে দাঁড়ানো জনতার সামনে সেই অত্যাচারের ঘটনা ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যে, সারা দেশে। চাপে পড়ে গ্রেপ্তারের পর ধৃত তাজমুল হক ওরফে জেসিবি-কে হেপাজতে নিল পুলিশ।
লক্ষ্মীপুরে বর্বরোচিত মারধরের ঘটনায় ধৃত তাজিমুল হক ওরফে জেসিবিকে সোমবার আদালতে হাজির করে পুলিশ। সরকারি আইনজীবী সঞ্জয় ভাওয়াল বলেন, ‘‘চোপড়ার ঘটনায় ধৃত তাজিমুল ইসলাম ওরফে জেসিবি-কে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১ ,৩২৩, ৩৫৪, ৩৬০ ও ৩৪ ধারায় মামলা হয়। অভিযোগটি করেন দাসপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই পদমর্যাদার পুলিশ সঞ্জয় ঘোষ। তিনি সোর্স মারফত একটি ভিডিও পান, তাতে দেখা যায় অভিযুক্ত সালিসি সভার নামে এক মহিলা ও এক ব্যক্তিকে মারধর করছে। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পর স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে এবং জেসিবিকে গ্রেপ্তার করে এদিন আদালতে তোলে। পুলিশ ১০ দিনের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছিল আদালত পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।’’
পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়, গত বছরের জুনে, সিপিআই(এম) কর্মী মনসুর আলমের হত্যায় প্রধান অভিযুক্ত এই ‘জেসিবি’। অথচ এতদিন পুলিশ কিচ্ছু করেনি। এছাড়া ওই ব্যক্তির নামে একাধিক মামলা রয়েছে।
সিপিআই(এম) উত্তর দিনাজপুর জেলা সম্পাদক আনোয়ারুল হক বলেন, ‘‘সুজালিতে আব্দুল হক এবং লক্ষ্মীপুরে জেসিবি-র বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস কারো নেই। জেসিবি চোপড়ার বিধায়কের ছত্রছায়ায় থেকে তোলাবাজি এবং খুন রাহাজানি করে বেড়ায়। আমাদের কাছে আরো অনেক প্রমাণ রয়েছে জেসিবি’র অত্যাচারের। পুলিশ অবশেষে জনমতের চাপে পড়ে গ্রেপ্তার করেছে। শাসক দলের এই ধরনের মস্তান বাহিনী এলাকার ত্রাস সৃষ্টি করে বেড়াচ্ছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমাদের কর্মীদের উপর গুলি চালানোর মূল পাণ্ডা ছিল এই জেসিবি । সেখানে আমাদের মনসুর খুন হন। পুলিশ বধির হয়ে আছে।’’
চোপড়া ব্লকের লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দীঘলগাঁও গ্রামের ঘটনা শুক্রবারের হলেও ছড়িয়েছে রবিবার।
Chopra JCB POLICE REMAND
চাপে পড়ে চোপড়ার সেই দুষ্কৃতীকে ৫ দিনের হেপাজতে নিল পুলিশ
×
Comments :0