Chopra

চোপড়ায় বাম কংগ্রেসের মিছিলে গুলি
মৃত দুইজন, আহত সিপিআই(এম) প্রার্থী

রাজ্য

মনোনয়নের শেষ দিনেও তৃণমূলের সন্ত্রাস অব্যাহত। পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই দফায় দফায় সিপিআই(এম), কংগ্রেস এবং আইএসএফ কর্মীদের সাথে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দফায় দফায় সংঘর্ষ বেঁধেছে তৃণমূলের।

বৃহস্পতিবার সকালে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে দাসপাড়া থেকে বাম কংগ্রেস জোটের একটি মিছিল মনোনয়নপত্র জমা করার উদ্দেশ্যে একটি মিছিল করে চোপড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। মিছিলটি কাঁঠালবাড়ি এলাকায় এলে মিছিলে উদ্দেশ্য করে গুলি চালায় তৃণমূল। এই ঘটনা ১৫-২০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গুরুত্বর আহত সিপিআই(এম) প্রার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সূত্রের খবর মনসুর নামে এক সিপিআই(এম) সমর্থক কে দলীয় কর্মীরা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কাধে তুলে নিয়ে যাচ্ছিলো। হঠাৎ একটা এমবুলেন্স এসে তুলে নিয়ে যায়। ২২- ২৫ মিনিট এম্বুলেন্স কে দেখা যাচ্ছে না।

গত শুক্রবার মনোনয়নের প্রথম দিন মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে খুন হন কংগ্রেস কর্মী। ওই দিন সকাল থেকেই দফায় দফায় উত্তজনা ছড়ায় মুর্শিদাবাদের রানিবাধে। তারপর দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমানে দফায় দফায় বিরোধীদের ওপর আক্রমণের ছবি দেখা গিয়েছে। আক্রমণ যেমন হয়েছে তেমন পাল্টা প্রতিরোধও হয়েছে। 

রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ হয় তার জন্য কলকাতা হাই কোর্টের দারস্থ হয় কংগ্রেস। সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম স্পষ্ট জানিয়ে ছিলেন যে, নির্বাচনে অশান্তির দায় নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য প্রশাসনকে নিতে হবে।

গোটা রাজ্য জুড়ে যখন বোমা গুলি চলছে তখন কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ডিভিসন বেঞ্চের দারস্থ হলো রাজ্য সরকার। কংগ্রেস পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের পক্ষ বলা হয় যে স্পর্শকাতর জেলা গুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার জন্য। এদিন কমিশন এবং রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই নির্দেশ পুর্নবিবেচনা করার আবেদন জানানো হয়। রাজ্যের এই আবেদনের ভিত্তিতে প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন যে, ‘‘তাহলে কি গোটা রাজ্যকে স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দেব? সেটা ভাল হবে?’’

Comments :0

Login to leave a comment