‘‘চিকিৎসকদের প্রতি ন্যূনতম সম্মান বোধ থাকলে এভাবে বাধা দিতে নামত না সরকার। কোভিডের সময় পুজোর কার্নিভাল বাতিল করে প্রশাসনের মাথারা ঘরে ছিলেন। ডাক্তাররা লড়াই করেছিলেন, তাঁদের প্রাণ গিয়েছে। সেই চিকিৎসকরা আন্দোলনে, অনশনে। এতটুকু সম্মান বোধ থাকলে সরকার নিজেদের কার্নিভাল বন্ধ রাখতে পারত।’’
কলকাতা হাইকোর্টে জনতার ‘দ্রোহের কার্নিভাল’-এ অনুমতি এবং তার আগে এই কর্মসূচি ঠেকাতে পুলিশের বিধিনিষেধ প্রসঙ্গে এমন কথা বললেন চিকিৎসক আন্দোলনের নেতা সুবর্ণ গোস্বামী।
তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। চিকিৎসকরা শুরু করলেও এই আন্দোলন এখন জনগণের। স্বাধীনতার পর এমন সুতীব্র জন আন্দোলন রাজ্যের মানুষ দেখেননি।’’
‘দ্রোহের কার্নিভাল’ আটকাতে পুলিশের ১৬৩ ধারা জারি এবং কলকাতা হাইকোর্টে তা বাতিল করে অনুমতি প্রসঙ্গে এমনই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন চিকিৎসক আন্দোলনের অন্যতম নেতা সুবর্ণ গোস্বামী।
তিনি বলেছেন, ‘‘শাসক ভয় পেয়েছে। দাঁত-নখ বের করেছে। তাই ১৬৩ ধারা জারি করে এই কর্মসূচি বানচালের উদ্যোগ নিয়েছিল।’’ তিনি বলেন, ‘‘বন্যাপীড়িতরা ত্রাণ পান না, সরকারি কর্মচারীরা মহার্ঘ ভাতা পান না, তবু কোটি কোটি টাকা খরচ করে সরকার পুজোর কার্নিভাল করতে পারে। আর জনতা ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ ডাকলে তাকে আটকানোর চেষ্টা করে।’’
DR. SUBARNO GOSWAMI
জনতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার: ডা. সুবর্ণ গোস্বামী
×
Comments :0