G-20 Bilateral MODI

লক্ষ্য ‘মানব কেন্দ্রিক’ ও ‘সর্বাঙ্গীন উন্নয়ন’, জি-২০’র মুখে বলছেন মোদী!

জাতীয়

দিল্লিতে বিদেশি প্রতিনিধিদের অভ্যর্থনা।

তিন দিনে ১৫টি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবারই বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও। এদিন মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীন্দ জগন্নাথের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন তিনি।  রাতে মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের সঙ্গেও তাঁর বৈঠক হয়েছে।

মোদী বলেছেন, ‘‘দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সম্পর্ক ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকে। পারস্পরিক সমঝোতা গভীর রার সুযোগ থাকে।’’ এদিনই সোশাল মিডিয়ায় তাঁর বার্তা, ‘‘দিল্লির জি-২০ বৈঠকে মানব কেন্দ্রিক এবং সর্বাঙ্গীন উন্নয়নের নতুন পথের সন্ধান মিলবে।’’ তিনি বলেছেন, ‘‘আগামী দু’দিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে ইতিবাচক ফলাফল হবে বলে আশা করছি।’’ 

মোদীর ‘মানব কেন্দ্রিক’ এবং ‘সর্বাঙ্গীন’ উন্নয়ন মন্তব্য অনেকেরই নজর কেড়েছৃ। কারণ দেশের মধ্যে বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং অধিকার আন্দোলনে যুক্ত বিভিন্ন অংশ এই দুই বিষয় নিয়েই তাঁর সমালোচনায় সরব। মণিপুর, হরিয়ানা তো বটেই দেশের সর্বত্র বিভাজন এবং হিংসার আবহে মোদীর দল বিজেপি এবং উগ্র হিন্দুত্ববাদী শক্তির মদতের প্রসঙ্গ তুলছে এই অংশ। 

শনিবার মোদী দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন জাপান, ব্রিটেন, জার্মানি এবং ইতালির প্রধানদের সঙ্গে। রবিবার মধ্যাহ্নভোজ সারবেন ফরাসী রাষ্ট্রপতি এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে।

শুক্রবার দিল্লিতে পৌঁছেছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। দিল্লিতে পৌঁছেছেন আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা, ইতালির প্রধানমন্ত্রী কিওর্জিয়া মেলোনি, আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপতি আলবার্তো ফার্নান্দেজ, রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রী সের্গেই লাভরভ।

জি-২০ গোষ্ঠীতে রয়েছে আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা , চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন।      

Comments :0

Login to leave a comment