Student's Protest

শিক্ষকের দাবিতে পথ অবরোধ ছাত্র-ছাত্রীদের

রাজ্য জেলা

Students Protest ক্যাপশান- আন্দোলন রত ছাত্র ছাত্রীরা। ছবি তপন বিশ্বাস।


দাড়িভিট হাই স্কুলের ছোঁয়া লাগলো গোয়ালপোখরের ঠিকরিবাড়ি হাই স্কুলে। শিক্ষকের দাবিতে রাস্তায় নামল ছাত্র-ছাত্রীরা। শুক্রবার স্কুল শুরু হতেই প্রচন্ড দাবদাহ উপেক্ষা করে প্রায় দুই হাজার ছাত্র স্কুলের গেটের সামনে বিক্ষোভে সামিল হলো। তাদের দাবি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ২০০০ কিন্তু শিক্ষক রয়েছেন মাত্র আটজন। তারপরেও শিক্ষকরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন না হলে পঠন পাঠন শিকেয় উঠেছে। স্কুলে পড়াশোনার পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে অন্যান্য স্কুলে চুক্তিভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ করে গঠন-পাঠন চললেও ঠিকরি বাড়ির ক্ষেত্রে তা ব্যতিক্রম। বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী আসরা বেগম জানায়, আমরা বিদ্যালয়ে আসি পড়াশোনা করতে কিন্তু পড়াশোনার পরিকাঠামো নেই শিক্ষকের অভাব। আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। এর আগে আমরা একবার আন্দোলনে নেমে ছিলাম তখন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক আমাদের বিদ্যালয়ে এসে দুইজন ক্যাজুয়াল টিচারের ব্যবস্থা করেছিলেন কিন্তু তারপর সেই শিক্ষক আর নেই। দীর্ঘদিন থেকে বিদ্যালয় কোন নতুন শিক্ষক আসছেন না। আশেপাশে বিদ্যালয় গুলিতে শিক্ষকের অভাব মেটাতে অনেক ক্যাজুয়াল টিচার নেওয়া হয়েছে কিন্তু আমরা সে সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছিনা।


এদিকে ঠিকরিবাড়ি হাই স্কুলে শিক্ষকের দাবিতে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ তীব্র যানজট দেখা দেয়। শিক্ষকের দাবিতে পড়ুয়াদের আন্দোলনে পাশে দাঁড়ায় অভিভাবকেরা। তারা জানান, আগে নিয়মিত বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ হতো কিন্তু বর্তমানে তা হচ্ছে না মাত্র আট জন শিক্ষক দিয়ে ২০০০ এর বেশি ছাত্রছাত্রী পড়ানো সম্ভব কি। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে গোয়ালপোখর থানার পুলিশ ও গোয়ালপোখর ১ নং ব্লকের জয়েন্ট ভিডিও। দীর্ঘক্ষণ অবরোধ চলার পর জয়েন্ট বিডিওর আস্বাসে অবরোধ তুলে নেয় পড়ুয়ারা। তবে শিক্ষক নিয়োগ না হওয়াতে বারবার হেনস্থার মুখে পড়তে হচ্ছে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ এজাজ আহমেদ জানান, আমার ছাত্ররা শিক্ষকের দাবিতে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছে এর চাইতে অসম্মানের কি আছে আর। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা তো আমাদের হাতে নেই। আমাদের ইস্কুল উর্দু মিডিয়াম। আমরা শিক্ষকের দাবি একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি কিন্তু শিক্ষক নিয়োগ না হলে আমরা কি করতে পারি।


অভিভাবকদের একাংশের দাবি, শুধুমাত্র শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে ছাত্র ছাত্রীদের আবেগ কখন কোন মাত্রায় পৌঁছায় তা বোঝা মুশকিল। ছাত্র-ছাত্রীদের তরুণ মনের আন্দোলনের তীব্রতা কখন কোন মাত্রায় পৌঁছায় সেই বাঁধন ও আবেগ ধরে রাখা মুশকিল সুকুমার মতি ছাত্র-ছাত্রীদের। ঠিকরিবাড়িতে শিক্ষক নিয়োগ না হলে আন্দোলনের তীব্রতা আগামী দিনের বাড়তে থাকবে। ফলে সেখানে আর একটা দাঁড়িভিট আমাদের দেখতে না হয় - সে ব্যাপারে আতঙ্কে থাকি।

Comments :0

Login to leave a comment