Godhra convicts bail plea opposed Gujrat

বিলকিসের অপরাধীদের মুক্তি দিলেও গোধরা কান্ডে অভিযুক্তদের জামিনের বিরোধিতা গুজরাটের

জাতীয়

বিলকিস বানোর ধর্ষণকারী এবং তার পরিবার ও দু’বছরের শিশুকন্যার হত্যাকরীদের নিশর্তে ছেড়ে দেওয়া সম্ভব হলেও গোধরায় ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনায় তথাকথিত অভিযুক্তদের জামিনের আবেদনের সরাসরি বিরোধীতা করল গুজরাট সরকার। উগ্রপন্থী দমন (টেরোরিস্ট অ্যন্ড ডিস্রাপ্টিভ অ্যক্টিভিটি প্রিভেনশন) আইনের উল্লেখ করে তাদের জামিন দেওয়া উচিৎ নয় বলে সুপ্রিম কোর্টে বলেন সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহেতা। তিনি উল্টে বলেন ট্রেনে আগুন লাগানোর ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের মৃত্যুদন্ড দেওয়ার আবেদন করতে চলেছে গুজরাট সরকার। যদিও সবরমতি এক্সপ্রেসের ওই কামরায় কি করে আগুন লেগেছিল তা আজ অবধি স্পষ্ট নয়। যদিও তুষার মেহেতা আদালতে বলেন গোধরার ঘটনাটিকে বিরলতম একটি ঘটনা হিসেবেই ধরা উচিৎ যেখানে ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল তারমধ্যে ছিলেন একজন মহিলা ও একজন শিশু। সুতরাং অভিযুক্তদের কোনও ভাবেই জামিন দেওয়া যাবে না।


২০০২’র ২৭ ফেব্রুয়ারী গোধরা ষ্টেশনে সবরমতী এক্সপ্রেসের এস সিক্স (S6) কোচটিতে আগুন লেগে যায়। তাতে মৃত্যু হয় ৫৯ জনের। ঘটনাচক্রে ওই কামরার যাত্রীরা প্রায় সকলেই ছিল কর সেবক এবং তারা অযোধ্যা থেকে ফিরছিল। গোধরার সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গুজরাটের হত্যা লীলা চলে। প্রায় ১,০৪৪ জনের। এদের প্রায় সকলেই ছিল মুসলিম। এই গণ হত্যার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সম্প্রতি গুজরাট গণহত্যা নিয়ে বিবিসি’র ‘দি মোদী কোয়েশ্চন’ ডকুমেন্টারিটি সারা দেশে প্রবল আলোড়ন ফেলেছে। 


গুজরাট গণহত্যায় প্রাণ হারিয়েছিল বিলকিস বানোর পরিবারের সদস্যরাও। সেসময়ে ১৯ বছরের অন্তঃসত্বা বিলকিসকে ধর্ষণ করে তার ৩ বছরের মেয়ে ও পরিবারে সদস্যদের খুন করেছিল ১১ জন। ২০২২’র ১৫ আগষ্ট তাদের বিশেষ আইনে মুক্তি দেয় গুজরাট সরকার। সেই ১১জনকে মালা পরিয়ে অভ্যর্থনা জানিয়েছিল বিজেপির নেতারা। সেখানে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে গোধরায় ট্রেন জ্বালানোর ঘটনায় যদি অভিযুক্তদের জামিন দেওয়া সম্ভব না হয় সেখানে বিলকিস বানোর ধর্ষণকারীদের কিভাবে মুক্তি দিল গুজরাট প্রশাসন।

Comments :0

Login to leave a comment