রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হিসেবে রাজ্যপালই বহাল থাকছেন। শনিবার রাজভবন থেকে প্রেস বিবৃতি জারি করে একথা জানানো হয়েছে।
প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে বিবাদ বাঁধে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের। দুই পক্ষের মধ্যে মনোমালিন্য তৈরি হয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে দ্বিতীয়বার নিয়োগ করাকে ঘিরে সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের বিরোধ চরমে উঠে। এরপরই রাজ্যপালকে সরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর জন্য বিধানসভায় বিল পাশ করে তৃণমূল সরকার।
আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানো নিয়ে বিরোধীরা তীব্র আপত্তি জানায়। সেই বিল রাজভবনে পাঠানো হয় রাজ্যপালের সইয়ের জন্য। জগদীপ ধনখড় যতদিন রাজ্যপাল ছিলেন ততদিন সেই বিলে সই হয়নি।
রাজ্যে নতুন রাজ্যপাল হয়েছেন সিভি আনন্দ বোস। এদিন তিনি প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে পুরানো ব্যবস্থাই বহাল থাকবে।
দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে রাজ্যপালই বহাল রয়েছেন। এই প্রচলিত ধারা তৃণমূল সরকার বদলাতে চেয়েছিল শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য পদে বসানোর জন্য বিধানসভায় বিল পাশ করানো হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু প্রকাশ্যে বলেছিলেন, কেরালার মুখ্যমন্ত্রী যদি আচার্য পদে বসতে পারেন তাহলে আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নয় কেন? সেদিন সম্পূর্ণ অসত্য কথা বলে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিলেন শিক্ষা মন্ত্রী। কারণ কেরালার মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য পদে বসানো নিয়ে আদৌ কোনও বিলই পাশ হয়নি। কেরালার বিশ্ববিদ্যালয়গুলি আচার্য পদে শিক্ষাবিদ বা বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের নিয়োগ করা হবে বলে বিল পাশ হয়েছে।
Comments :0