Jhakhand Polls

ঝাড়খন্ডে ভোটের প্রচারে উগ্র সাম্প্রদায়িক ভিডিও বিজেপির

জাতীয়

ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনে নিকৃষ্টতম সাম্প্রদায়িক প্রচার বিজেপির। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওটতে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে দেখানো হয়েছে যারা অন্য একটি সম্প্রদায়ের বাড়িঘর দখল করে নিতে পারে ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা ক্ষমতায় এলে- এমনই বিষাক্ত উপাদান ভিডিওটিতে। 
ভারতের নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে পোস্ট করা একটি ভিডিও সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে, যাতে দেখা যায় যে ভিডিওটি চলমান ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের সময় কার্যকর আদর্শ আচরণবিধি (এমসিসি) লঙ্ঘন করেছে। 
১৭ নভেম্বরের চিঠিতে নির্বাচন কমিশন ঝাড়খণ্ডের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে (সিইও) ঝাড়খণ্ড বিজেপিকে ভিডিওটি সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এর জবাবে বিজেপি তাদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে বিতর্কিত বিজ্ঞাপনটি সরিয়ে দিয়েছে।
বিতর্কিত পোস্টে এমসিসি লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে বিজেপির কাছে ব্যাখ্যাও চেয়েছে কমিশন।
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এবং ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার কাছ থেকে ১৬ নভেম্বর বিজেপি ঝাড়খণ্ডের শেয়ার করা একটি ‘‘বিভ্রান্তিকর এবং বিদ্বেষপূর্ণ ভিডিও’’ সম্পর্কে অভিযোগ পাওয়ার পরে কমিশন বিজ্ঞাপনটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।
ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্য ‘বিষাক্ত প্রচার’ শুরু করার অভিযোগ করার একদিন পরেই মঙ্গলবার তিনি আবার গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ করে অভিযোগ করেন যে রাজ্যের বিরোধী দল তার বিরুদ্ধে ‘‘বিদ্বেষপূর্ণ প্রচা’’" ৫০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয় করেছে।
এর আগে হেমন্ত সোরেন অভিযোগ করেছিলেন, বিজেপি তাঁর এবং রাজ্যের সুনাম নষ্ট করার জন্য ‘ছায়া প্রচার’ চালাচ্ছে।

তিনি অভিযোগ করেন, ঝাড়খণ্ডে জেএমএম নেতৃত্বাধীন জোটের বিরুদ্ধে প্রচারের জন্য গেরুয়া দল বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেছে এবং ‘‘৯৫,০০০ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ’’ তৈরি করেছে।
ভিডিওটিতে জেএমএমের ব্যানার এবং মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের মতো দেখতে একটি চিত্রের পোস্টার সহ একটি বাড়িতে দেখা গেছে, যার ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘‘পুরে ঝাড়খণ্ড কা কায়া পালাট কর দেঙ্গে’’ (পুরো ঝাড়খন্ডের চেহারা পালটে দেব)।
যাতে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের কয়েকশো লোককে সেখানে বসবাসের উদ্দেশ্যে জোর করে আরেকটি সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়িতে ঢোকার ছবি দেখানো হয়েছে।
অভিযোগ খতিয়ে দেখার পর নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টটি প্রাথমিকভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে বলে মনে হচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়েছে যে তথ্যপ্রযুক্তি আইন, ২০০০ এর ধারা ৭৯(৩)(বি) (সরকার কর্তৃক তাদের নজরে আনা বেআইনি পোস্টগুলি মুছতে ব্যর্থ হলে মধ্যস্থতাকারীরা ব্যবস্থা নিতে পারে) এর অধীনে পোস্টটি সরিয়ে দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

Comments :0

Login to leave a comment