India vs Australia

সরাসরি জিতে ফাইনালে উঠতে চায় ভারত

খেলা

India vs Australia 4th Test


বৃহস্পতিবার থেকে শুরু বর্ডার-গাভাসকার ট্রফির শেষ টেস্ট। এই টেস্টের ফলাফলের উপর অনেকটাই নির্ভর করছে, ভারত সরাসরি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলতে পারবে না অপেক্ষা করতে হবে? চতুর্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারালে ফাইনাল পাঁকা হয়ে যাবে টিম ইন্ডিয়া। হারলে বা ড্র হলে তাঁকিয়ে থাকতে হবে শ্রীলঙ্কা-নিউজিল্যান্ডের টেস্ট সিরিজের ফলাফলের দিকে। নিউজিল্যান্ড ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতলেই, তবেই নিশ্চিত হবে ভারতের ফাইনাল খেলা। তাই কোনোরকম অপেক্ষা, কারোর নির্ভরতা নয়, সহজ অঙ্কে জিতেই ফাইনাল খেলতে মরিয়া ভারতীয় দল। এসব ব্যাপার তো রয়েছেই, পাশাপাশি চতুর্থ টেস্টের প্রথমদিন স্টেডিয়ামে উপস্থিত থাকবেন দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী। 


দু’বছর আগে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দু’টি টেস্ট হয়েছিল এখানে। বাইশ গজ ছিল স্পিন সহায়ক। স্পিনিং ট্র্যাকেই চলতি সিরিজের তিনটি টেস্টও হয়েছে। সিরিজে প্রথমবার বিরাট বদল আসতে চলেছে বাইশ গজে। আমেদাবাদ টেস্ট হবে ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে। ইন্দোরের পিচ নিয়ে প্রবল সমালোচনা হয়েছিল। তার কারণ, প্রথম দিন থেকেই বল ঘুরছিল। সামলাতে না পেরে আড়াই দিনে টেস্ট হেরেছিল ভারত। ব্যাটিং বিপর্যয় হয়েছিল রোহিত শর্মার দলের। হার থেকে বড়সড় শিক্ষা নিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। ওইকারণেই ব্যাটিং উইকেট বানানোর সওয়াল করেছে ভারতীয় দলের থিঙ্কট্যাঙ্ক। সমীকরণ যা, যেভাবেই হোক অন্তিম টেস্ট জিততে হবে রোহিতদের। বিরাট কোহলি সহ অনেকেই রানের মধ্যে নেই, তাঁদের কাছে ছন্দে ফেরার দারুণ সুযোগ। পিচে যেহেতু রান থাকবে, টস ফ্যাক্টর হলেও হতে পারে। উপমহাদেশের উইকেট যতই রানের হোক, চতুর্থ ইনিংসে বড় রান তাড়া করার চাপের হয়ে যায়। শেষ দু’দিন বাইশ গজে ফাটল ধরে, স্পিনাররা সাহায্য পায়। এমনিতেই দু’দলের ব্যাটারদেরই স্পিনের বিরুদ্ধে টেকনিক খুব একটা আহামরি নয়। কয়েকজন ছাড়া। যারা শেষ ইনিংসে ব্যাটিং করবে, তাঁদের কাছে চ্যালেঞ্জ। 


ভারতীয় দল রং খেলার পাশাপাশি অনুশীলনেও ঘাম ঝড়িয়েছে। নিজেদের ভূল ক্রুটি নিয়ে খাটাখাটনি করেছে। খারাপ ফর্মে রয়েছেন বিরাট। চলতি সিরিজে রান করেছেন মাত্র ১১১। কোনও অর্ধশতরান নেই। রোহিত প্রথম টেস্ট শতরান করার পর, বলার মতো ইনিংস নেই আর। টপ অর্ডার থেকে মিডল অর্ডার, ভারতের কেউই ধারাবাহিক নয়। সেক্ষেত্র, ব্যাটিং উইকেটে ভারতীয় ব্যাটিং বিভাগের উপর থাকবে বাড়তি নজর। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে ঋষভ পন্থের অভাব। পাঁচ নম্বরে তিনি যে ভূমিকাটা পালন করতেন, তা কেউ করে দেখাতে পারছেন না। প্রাক্তন অসি ক্রিকেটার ইয়ান চ্যাপেল এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। উইকেটরক্ষক কেএস ভরত উইকেটের পিছনে ভালো হলেও ব্যাট হাতে প্রশংসনীয় পারফরম্যান্স নেই। তাই, তাঁকে বসিয়ে ইশান কিষানকে অভিষেক করানোর চিন্তা-ভাবনা ঘুরপাঁক খাচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টের মাথায়। বুধবার অনুশীলনে দু’জনই উপস্থিত ছিলেন। নেটে অনেকক্ষণ ব্যাটিং করেছেন ইশান-ভরত। ইশানের ব্যাটিং অনেকটাই ঋষভের মতোই। আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে পারেন তিনি। চাপের মুখে পালটা আক্রমণ করার ক্ষমতা রয়েছে। ভারতীয় দল ইশানকে খেলিয়ে দিলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। পারফরম্যান্সের নিরিখে ভারতীয় লোয়ার অর্ডারকে সফল বলা যায়। তিন ম্যাচেই অবদান রেখেছে তাঁরা। দু’অর্ধশতরান সহ ১৮৫ রান একাই করেছেন অক্ষর প্যাটেল। রান পেয়েছেন অশ্বিন। শোনা যাচ্ছে, খেলতে পারেন সামিও। সামনেই একদিনের সিরিজ। তাঁর আগে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে মহম্মদ সিরাজকে। সামি খেললে ভারতের ব্যাটিং লেজটা আরও শক্তিশালী হবে। 


অন্যদিকে, প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া ভারতের তুলনায় অনেকটাই চাপহীন। তাঁরা ইন্দোর টেস্ট জিতে ফাইনালে উঠে গিয়েছে। এখন তাঁদের লক্ষ্য ভারত থেকে সিরিজ ড্র করে ফেরা। ২০১২’তে ইংল্যান্ডের কাছে হারার পর সবক’টি টেস্ট সিরিজ জিতেছে ভারত। অস্ট্রেলিয়া যদি ২-২ করতে ফেলতে পারে, স্টিভেন স্মিথদের কাছে সেটা অনেক বড় সাফল্য হবে। প্রথম দু’টেস্ট হারার পর। শেষ টেস্ট খেলতে নামার আগে, এটা সবচেয়ে বড় প্রেরণা অসিদের কাছে। গত টেস্টে অসি ব্যাটারদের স্পিনের সামনে ভারতের তুলনায় যথেষ্ট সাবলীল দেখিয়েছে। যেহেতু আমেদবাদের উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য কিছুটা সহজ। তাই, বড় রান করার সংকল্প নিয়েই নামবেন মার্নাস লাবুশেন-স্মিথ-হেডরা। বাইশ গজ খুশি হয়েছে অসি অধিনায়ক। বলেছেন, ‘এই উইকেটে চারশো রান হওয়াটা সম্ভব।’

 

Comments :0

Login to leave a comment