Sara Netyaniahu

আইনি তদন্তের মুখে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী

আন্তর্জাতিক

একের পর এক যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়লেও দেশের ভেতর সমস্যা পিছু ছাড়ছে না। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর স্ত্রীর বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে আইনি তদন্ত। সাক্ষীকে ভয় দেখানো এবং বিচারকে প্রভাবিত করার অভিযোগ রয়েছে সারা নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে।
ইজরায়েলের অ্যাটর্নি জেনারেল গালি বাহারাভ মিয়ারা রাজনৈতিক বিরোধীদের হয়রানির অভিযোগও যুক্ত করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। শুরু হয়েছে সেই তদন্ত। 
হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ দেখে তদন্তকারীদের অভিযোগ, রাজনৈতিক বিরোধী, সমালোচক ও প্রতক্ষদর্শীদের ভয় দেখাতে অবৈধ কার্যকলাপ চালিয়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী। 
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের বিভিন্ন অংশই মনে করছে ইজরায়েলের অভ্যন্তরীণ সমস্যায় বিব্রত রয়েছেন নেতানিয়াহু। সরকারে আসীন তাঁর নেতৃত্বাধীন জোট নিয়েও মতানৈক্য রয়েছে। এই অবস্থায় যুদ্ধজিগির সমানে বাড়িয়ে চলার নীতিই আঁকড়ে আছেন প্রধানমন্ত্রী। গাজায় একবছরের বেশি আগ্রাসনের পর লেবাননে হেজবোল্লার সঙ্গেও সশস্ত্র সংঘাতে জড়িয়েছে ইজরায়েলের সেনা। সিরিয়ায় আসাদ-পতনের পর সেখানেও ঝাঁপিয়েছে সেনা। এবার ইয়েমেনের হউথি দমনে জোর দিয়েছেন তিনি। তবে দেশে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না তাঁর।  
সারা নেতানিয়াহু সংক্রান্ত তদন্তে দেখা গেছে তিনি রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে ভয় দেখাতে ব্যবহার করেছেন ক্ষমতা। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিচারের প্রধান সাক্ষী হাদাস ক্লেইনকে ভয় দেখানোর জন্য সহযোগী হানি ব্লিওয়েইসকে নির্দেশ দিয়েছেন। এই হাদাস ক্লেইন আবার হলিউড প্রযোজক আর্নন মিলচানের একজন সহযোগী। মিলচান নেতানিয়াহুকে শ্যাম্পেন এবং সিগার সহ দামী উপহার দেওয়ার বিষয়ে সাক্ষী দিয়েছেন।
ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ২৬ ডিসেম্বর একটি ভিডিও প্রকাশ করে তাঁর স্ত্রীকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেছেন। তিনি অভিযোগকে 'মিথ্যা প্রচার' বলে খারিজ করেছেন। তিনি বলেছেন, "আমার রাজনৈতিক ও মিডিয়া বিরোধীরা অন্যায়ভাবে টার্গেট করছেন। তারা নির্মম ভাবে  আমার স্ত্রী সারার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার করে আক্রমণ করেছে

Comments :0

Login to leave a comment