KIIT Protest

ছাত্রীর দেহ হস্টেলে, বিক্ষোভে উত্তাল ভুবনেশ্বরের কেআইআইটি

জাতীয়

ছাত্রীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল হলো কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি। ভুবনেশ্বরে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সোমবার বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ছাত্রছাত্রীরা।
বি.টেক তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী প্রকৃতি লমসলের দেহ পাওয়া যায় হস্টেলের ঘরে। এই ছাত্রী নেপাল থেকে পড়তে এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। নেপালের থেকে পড়তে আসা ছাত্রছাত্রীরাও বড় সংখ্যায় শামিল হয়েছেন বিক্ষোভে। 
বিক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুরো ঘটনাটিকে তাড়াতাড়ি ধামাচাপা দিতে তৎপর ছিল। আচমকাই নেপালি ছাত্রছঅত্রীদের ক্যাম্পাস খালি করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে তাঁদের কটূক্তি এবং অবমাননাকর আচরণের মুখে পড়তে হয়। কর্তৃপক্ষকে জানালেও চোখ বন্ধ করে থাকে। 
প্রকৃতির বন্ধুরা জানিয়েছে যে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল অদ্বিক শ্রীবাস্তব নামে এক ছাত্রের। প্রকৃতিকে বারবার হেনস্তা করত অদ্বিক। যার জেরে আত্মঘাতী হয়েছেন প্রকৃতি। 
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কয়েকশো ছাত্রছাত্রী স্লোগান তুলেছেন ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। বেশ কয়েকটি ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে প্রায় সব অংশের ছাত্রছাত্রীরাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আচরণে ক্ষোভ জানাচ্ছেন সরবে। ক্ষোভ আরও ছড়িয়ে নেপাল সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় আধিকারিকদের মন্তব্য সংক্রান্ত কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায়। অভিযোগ, নেপালের ছাত্রছাত্রীদের বলা হয়েছে তাদের দেশের মোট বাজেটের বেশি টাকা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নেপালি ছাত্রছাত্রীদের পিছনে খরচ করা হয়। এ সংক্রান্ত ভিডিও বা বক্তব্যের সত্যতা যদিও ‘গণশক্তি ডিজিটাল’ পরীক্ষা করেনি। 
কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব ইনডাস্ট্রিয়াল টেকনলজি (কেআইআইটি)’র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘রবিবার রাতে বি.টেক তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। জানা যাচ্ছে যে ওই ছাত্রীর সঙ্গে এই প্রতিষ্ঠানেরই এক ছাত্রের সম্পর্ক ছিল। অনুমান, এমন কিছু কারণেই এই আত্মহত্যা।’’
ছাত্রছাত্রীরা প্রশ্ন তুলছে যে কেন এবং কিভাবে রাতারাতি নেপালের সব ছাত্রছাত্রীকে হস্টেল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে! ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলার বহু ঘটনায় অভিযোগ জানালেও এই কর্তৃপক্ষ এতদিন ব্যবস্থা নেয়নি কেন।’’

Comments :0

Login to leave a comment