অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে সরব বিশ্ব জনমত। কিন্তু ভারতে নরেন্দ্র মোদী সরকার সেই দাবি তুলতে নারাজ। ভারত-মার্কিন আলোচনা প্রক্রিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এই দাবি তোলেনি ভারত। মোদী সরকারের এই অবস্থানের কড়া সমালোচনা করল পাঁচ বামপন্থী দল।
প্যালেস্তাইনে এখনই গণহত্যা বন্ধের দাবিতে সরব বামপন্থীরা। মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিনের সঙ্গে দিল্লিতে ২-২ আলোচনায় বসেছিলেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। যৌথ বিবৃতিতে কোথাও গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবি নেই। বরং, পরোক্ষে ইজরায়েলের ‘সন্ত্রাসবাদ বিরোধী লড়াইয়ের’ নামে নিরীহ নাগরিকদের ওপর বোমাবর্ষণে সমর্থন জানানো হয়েছে।
বামপন্থী দলগুলি বলেছে, ইজরায়েলের প্রধান মদতদাতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইজরায়েল-মার্কিন গণহত্যাকে সমর্থন জানানোর অবস্থান থেকে সরে আসার জন্য মোদী সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছিল আগেই।
দিল্লি বৈঠকের পর দু‘দেশের বিবৃতিতে ‘মানবিকতার খাতিরে আপাতত যুদ্ধ থামানোর’ কথা বলা হয়েছে। প্যালেস্তাইনকে আলাদা রাষ্ট্রের স্বীকৃতির জন্য ‘দুই রাষ্ট্র সূত্র’ ফের তুলেছে ভারত।
বামপন্থীরা বলেছেন, ‘আপাতত থামা’ আর ‘যুদ্ধবিরতি’-র দাবি এক নয়। কেবল ‘আপাতত থামা’ বলে পরোক্ষে ইজরায়েলের গণহত্যায় সমর্থন দেওয়া হচ্ছে।
বিবৃতিতে সই করেছেন সিপিআই (এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআই’র সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা, ফরওয়ার্ড ব্লকের সাধারণ সম্পাদক জি দেবরাজন, সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য এবং আরএসপি’র সাধারণ সম্পাদক মনোজ ভট্টাচার্য।
Comments :0