মনিরুল হক: উলুবেড়িয়া
আগুন লাগার পরেই স্থানীয়রা ছুটে এসেছিলেন। আগুন নেভানোর চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু আগুনের তেজ এতটাই বেশি ছিল যে তাঁরা ঘটনাস্থলে এগতেই পারছিলেন না।
উলুবেড়িয়ায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গিয়েছে, গোটা ঘরই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আসবাবপত্র থেকে ঘরে থাকার সমস্ত সামগ্রী পুড়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গোটা ঘর কালো ধোঁয়া ও পোড়া গন্ধে ভর্তি হয়ে গেছে।
উলুবেড়িয়ায় এই আগুনেই ৩জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ২।
উলুবেড়িয়া পৌরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাজারপাড়ার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতেরা হলো তানিয়া মিস্ত্রী (১১), ঈশান ধাড়া (৩) ও মমতাজ খাতুন (৫)।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আছে দমকলের দুটি ইঞ্জিন। দমকলকর্মীদের ঘন্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। দমকল ও পুলিশ বদ্ধ ঘর থেকে তিনটি দগ্ধ দেহ পরপর উদ্ধার করে। গুরুতর দগ্ধ মনীষা খাতুনকে উদ্ধার করে উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যায়।
ঘটনাস্থলে আসেন সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ। ছিলেন পার্টি নেতা সাবিরউদ্দিন মোল্লা, দীপেন্দু মন্ডল, আশুতোষ মণ্ডল প্রমুখ। পুলিশ গোটা এলাকা ঘিরে রেখে দেয়।
আহত মনীষা খাতুনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে প্রথমে উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
জানা গেছে, স্থানীয় কাজল মিস্ত্রী ও রাজা মিস্ত্রীর বাড়িতে কয়েকজন থাকতেন। রাজা মিস্ত্রীর বক্তব্য, এক শিশু চরকি নিয়ে খেলতে গিয়ে কাপড়ে আগুন লেগে যায়। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে বাকিরা অগ্নিদগ্ধ হয়ে পড়ে। যদিও এলাকার বাসিন্দার অভিযোগ, এখানে প্রকাশ্যেই কাটা তেলের ব্যবসা হতো। যা স্থানীয় প্রশাসন থেকে এলাকার বাসিন্দারা সকলেই জানতো।
দমকল দীর্ঘক্ষণ আগুন নেভানোর কাজ করে। পরে ঘটনাস্থলে আসেন হাওড়া গ্রামীণ জেলার পুলিশ সুপার স্বাতী ভাঙালিয়া। তিনি ঘটনাস্থলে যান।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, অগ্নিদগ্ধ হয়ে তিনজন মারা গেছে। একজন গুরুতর অগ্নিদদ্ধ হয়েছে। তাঁর ৭৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে কলকাতার বাঙুর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আমরা তদন্ত করে দেখছি কী থেকে এই ঘটনা ঘটেছে। ফরেন্সিক দলকে তলব করা হবে।
Comments :0