Varanasi

ধর্ষণে বাধা, নাবালিকাকে খুন করে বারাণসীর স্কুলের সামনে বস্তায় দেহ

জাতীয়

স্কুলের সামনে ব্যাগে দেহ, গুলিবিদ্ধ ইরশাদ।

ধর্ষণে বাধা পেয়ে নাবালিকাকে খুন করে দেহ ব্যাগে ভরে স্কুলের সামনে ফেলে দিয়ে গেল যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে সেই যোগী আদিত্যনাথের উত্তর প্রদেশে।  
জানা গেছে, উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর রামনগর থানা এলাকার আট বছরের এক নাবালিকা মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছটা নাগাদ বাড়ি থেকে কিছু দূরে দোকানে মশার ধূপ কিনতে গিয়েছিল। সেইসময় প্রতিবেশি এক যুবক যুবক ওই নাবালিকাকে অপহরণ করে। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে অন্ধকার জায়গায় নিয়ে গিয়ে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণেরর চেষ্টা করে। তারপর পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করে। ঘটনাটি ঘটেছে বারাণসীর সুজাবাদ এলাকায়। ওই নাবালিকার প্রতিবন্ধী অটো চালকের মেয়ে। সময় পার হয়ে যেতে থাকে মেয়ে বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুজি শুরু করে। খোঁজাখুঁজি করেও কোনো ফল না পাওয়ায় থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। পুলিশি তদন্ত শুরু করে। এলাকায় থাকা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখলে দেখা যায় ওই পাড়ার বাসিন্দা ইরশাদ মেয়েটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবরের বিবরণে জানা গেছে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখ পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে ইরশাদকে শনাক্ত করে। তাকে গ্রেপ্তার করতে গেলে সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্ট করে। গ্রেপ্তার অভিযান চলাকালে ইরশাদের সঙ্গে পুলিশের গুলির লড়াই চলে। পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ইরসাদ। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। 
ধর্ষণে ব্যর্থ হওয়ার পর,  সে মেয়েটিকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন করে। দেহটি একটি ব্যাগে রেখে স্কুলের সামনে ফেলে দেওয়া দেয় বারাণসী কাশী জোনের ডিসিপি গৌরব বাঁশওয়াল সংবাদ মাধ্যকে এমটাই জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বুধবার বাহাদুরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে একটি বস্তার মধ্যে নাবালিকার অর্ধনগ্ন দেহ পাওয়া যায়। সারা শরীরে রক্তের দাগ ও আঘাতের চিহ্ন ছিল। ফরেন্সিক দল, পুলিশের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে আসে। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। মেয়েটির দেহ উদ্ধারের পর এসওজি এবং পুলিশের দল অভিযুক্তের খোঁজে অবিরাম অভিযান চালাতে থাকে। সেইসময় সিসিটিভি খতিয়ে দেখা হয়। সুজাবাদ এলাকায় অভিযুক্তের গতিবিধি নজরে আসে। পুলিশ তাকে ধরার চেষ্টা করলে ইরশাদ গুলি চালাতে থাকে। পাল্টা পুলিশের গুলি তার পায়ে লাগে। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। মেয়েটি দোকান থেকে জিনিস কিনে ফেরার সময়ই ইরশাদ তাকে অপহরণ ও পরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ধর্ষণে বাধা পেয়ে মেয়েটির মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করে তাকে খুন করেছে ইরশাদ। তার আগে বেধড়ক মারধরও করা হয়েছিল তাকে এই প্রমাণও মিলেছে। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে কয়েক রাউন্ড গুলি চালাতে হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছে। ডিসিপি আরও জানিয়েছেন, নাবালিকার পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরই সিসিটিভি খতিয়ে দেখা হয়। পরে নজরদারির সাহায্যে অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয়। অভিযুক্তের কাছে যে বন্দুকটি ছিল তার কোন বৈধ কাগজপত্র ছিল না। অভিযুক্তের ডান পায়ে গুলি লেগেছে।

Comments :0

Login to leave a comment