রুহুল আমিন- বীরভূম
শ্রমিক কৃষক সহ সাধারণ মানুষের স্বার্থে এবং দেশের গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষ রক্ষা করতে ফ্যাসিস্ট বিজেপি ও দুর্নীতিগ্রস্থ চোর তৃণমূলকে দেশ থেকে তাড়ান। এই দাবিতে সোচ্চার হয়ে বীরভূম কেন্দ্রের বামফ্রন্ট সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী মিলটন রশিদ মঙ্গলবার প্রচার করলেন মুরারই বিধানসভার চতরা, ডুমুরগ্রাম ও মুরারই অঞ্চলের গ্রাম গুলিতে।
অন্যদিনের তুলনায় এদিন সকাল থেকে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় প্রচার মিছিলে মানুষের অংশগ্রহন ছিল লক্ষ্যনীয়। মুরারই-১ ব্লকের চাতরা অঞ্চলের চাতরা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নিকট থেকে প্রচার শুরু হয়। তিনি সেখানে মিছিলে হেঁটেই মানুষের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে প্রচার করেন। এলাকার মানুষ অভিযোগ করে জানান, তৃণমূলের লুট সন্ত্রাস থেকে আমাদের বাঁচান। এই তৃণমূল মেরে ধরে পঞ্চায়েত গুলি দখল করে আমাদের সমস্ত অধিকার কেড়ে নিয়েছে। চাতরা এলাকার গরিব কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, ২০০৩ সালে এই অঞ্চলে কৃষক আন্দোলন করতে গিয়ে খুন হয়েছিলেন মুরারই-১ ব্লক কৃষক সভার সম্পাদক দক্ষিণ ক্যাশিল্যা গ্রামের এজাজুল শেখ। তার পর থেকেই এই এলাকায় গ্রাম দখলের রাজনীতি করে তৃণমূল। তৃণমূল সেই জমি থেকে এখন কৃষকদের উচ্ছেদ করছে। আমরা এই থেকে মুক্তি পেতে চাই। ডুমুরগ্রাম অঞ্চলের গ্রামবাসীরা অভিযোগ করে বলেন, একশোদিনের বকেয়া টাকা লুট করেছে তৃণমূল। ঘরের টাকা লুট করেছে। কনকপুর ও সারদুয়ারি গ্রামের মানুষরা বলেন এই দুটি গ্রামে পানীয় জল প্রকল্প ভেঙ্গে পড়েছে। ব্লকে অভিযোগ জানালে ট্রাঙ্কারে করে জল এনে আমাদের মুখে দেয়। এর জবাব আমরা এবার ভোটেই দেবো তৃণমূলকে।
প্রার্থী মিলটন রশিদ প্রচারে করতে করতেই গ্রামবাসীরের অভাব অভিযোগ শুনে বলেন, বীরভূম কেন্দ্রের ৭ টি বিধানসভা এলাকার মানুষের অভিযোগ একই। আমি আপনাদের বলছি এই চোর তৃণমূলকে তাড়াতে তো হবেই তার সঙ্গে তার দোসর সাম্প্রদায়িক বিজেপি'কে ও এই রাজ্য থেকে তাড়াতে হবে। আপনারার জমি থেকে ঘাস নির্মূল করুন গরু আপনা আপনি পালাবে। এই আগাছা আছে বলেই গরু জমিতে আসছে। এর বিরুদ্ধে আগামী ১৩ মে বিপুল ভোটে এদের পরাস্ত করে আপনাদের সরকার গঠন করতে হবে। তবেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
এদিন তিনি প্রচার করেন চাতরা অঞ্চলের চাতরা, হরিরামপুর, সুহুড়া, ভোগপুর, দক্ষিণ কাশিল্যা, খানপুর, বিরহামপুর, সীতাচোর, হামিদপুর, গাঙ্গাড্ডা, রনপুর ও ডুমুরগ্রাম অঞ্চলের তপনা, বাহাদুরপুর, ধনঞ্জয়পুর, ভূষনা, সারদুয়ারি তে দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে শেষ করেন।
বিকেলে ফের মিলটন রশিদ প্রচার করেন, কনকপুর, মলয়পুর, বালিয়াড়াও ডুমুরগ্রাম হয়ে মুরারই অঞ্চলের ধিতোড়া গ্রামে শেষ হয়। এদিন প্রচারে নেতৃত্ব দেন সিপিআই(এম) নেতা সঞ্জীব বর্মণ, সঞ্জীব মল্লিক সহ কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ।
Comments :0