মলয়কান্তি মণ্ডল- রানিগঞ্জ
যতদূর চোখ যায় ততদূর শুধুই লালে লাল। মঙ্গলবার বিকেলে রানিগঞ্জের রাজপথ লালঝান্ডার দখলে। এদিন লাল ঝাণ্ডার মিছিলে সামিল হয়েছিলেন কয়লাঞ্চলের হাজারো মানুষ। মিছিলে সামিল হওয়া মানুষের হাতে লাল পতাকা, লাল টিশার্ট, বাজনার তালে তালে দৃপ্ত শ্লোগানে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের সিপিআই(এম) প্রার্থী জাহানারা খানকে জয়ী করার আহ্বান জানিয়ে উত্তাল হল রানিগঞ্জ শহর। মিছিল মহামিছিলের রূপ নেয়।
রেল ময়দান থেকে মিছিল শুরু হয়ে এনএসবি রোড ধরে এতোয়াড়ি মোড় হয়ে সিহারশোল অভিমুখে মিছিল যত এগিয়েছে, মিছিলের বহর ততই বেড়েছে। মোড়ে মোড়ে পার্টি কর্মী সমর্থক, সাধারণ মানুষের সেই স্রোত মিশেছে মূল মিছিলে। পথচলতি মানুষ হাত নেড়ে সমর্থন জানিয়েছেন। মিছিলের পুরোভাগে জাহানারা খানের সাথে ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী, অল ইণ্ডিয়া কোল ওয়ার্কাস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ডি ডি রামানন্দন সহ সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ।
এদিন মিছিল থেকে আওয়াজ উঠে, বিজেপি হঠাও- দেশ বাঁচাও, তৃণমূল হঠাও-রাজ্য বাঁচাও। মিছিল এগিয়েছে বিভাজনের রাজনীতি রুখে তৃণমূল বিজেপির ভাওতাবাজির বিরুদ্ধে আসানসোল শিল্পাঞ্চলকে বাঁচানোর দাবি নিয়ে। জাহানারা খান বলেন, ‘বন্ধ হয়েছে জেকেনগরের বালকো, বার্ণস, মঙ্গলপুর জুট মিল, বেঙ্গল পেপারমিল। কয়লা খনি বেসরকারি মালিকের হাতে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত করছে বিজেপি। কয়লা খনি শ্রমিকরা জোরালো প্রতিবাদ করছেন। বেকারদের কাজ, কৃষকের ফসলের ন্যায্য মূল্য, অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির নিয়ন্ত্রণ, মহিলাদের নিরাপত্তার দাবি উঠছে রানিগঞ্জের গ্রাম থেকে শহরে। কয়লা, বালি লুটের বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠছে সর্বত্রই’।
বিজেপি তৃণমূলের নীতির কারণে গরিব মধ্যবিত্ত মানুষের রুটি রুজির বেহাল ছবি বদলাতে সংসদের অভ্যন্তরে বামপন্থীদের কন্ঠকে জোরদার করতে জাহানারা জয়ী করার আহ্বান জানিয়ে এগিয়ে চলে লাল ঝাণ্ডার মিছিল। এদিন জাহানারা খানের সমর্থনে রতিবাটি, চাপুই ও নূপুর গ্রামে নির্বাচনী প্রচার হয়।
Comments :0