পশ্চিমবঙ্গের বুকে বামপন্থীদের পুণরুত্থান দেখে আতঙ্কিত তৃণমূল এবং বিজেপি পঞ্চায়েত নির্বাচনে মিথ্যা প্রচার করছে মিডিয়ার একাংশের সাহায্য। বুধবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে সিপিআই(এম)’র রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এই অভিযোগ করে বলেছেন, রাজনীতিতে বামপন্থীদের কোনো স্বাধীন পরিসর দিতে চাইছে না তৃণমূল এবং বিজেপি। সেই জন্যই বিজেপি’র আইটি সেল ফেক প্রচার করছে তৃণমূল এবং বামেদের জোট হয়েছে বলে। আর মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল প্রচার করছে রাম বাম জোট বলে। বাস্তবে বাংলার মানুষ তৃণমূল এবং বিজেপি’র বিরুদ্ধে লালঝাণ্ডা হাতে তুলে নিয়ে এককাট্টা হচ্ছেন। পুনরুজ্জীবিত বাংলার ভবিষ্যৎ নিহিত আছে বামপন্থার এই পুণরুত্থানের মধ্যেই।
রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকদল ও পুলিশের হামলা, হুমকি, মিথ্যা মামলার মোকাবিলা করে দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত ফিরে পেতে বাংলার মানুষের লড়াইয়ের উল্লেখ করে এদিন সেলিম বলেছেন, তৃণমূল এবং বিজেপি বিরোধীদের এককাট্টা করে বামপন্থীরা লড়াই করছে। দুর্নীতি কায়েম রাখতে দুষ্কৃতী যোগের কারণে পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়া এবং প্রার্থী হিসাবে থেকে যাওয়াটাই একটা কঠিন যুদ্ধের চেহারা নিয়েছে। এরমধ্যেও আমরা বলছি, পঞ্চায়েতের তিন স্তরের প্রতিদ্বন্দ্বিতা মিলিয়ে প্রতি বুথেই ভোট হবে। পঞ্চায়েতের তিন স্তর মিলিয়ে বামফ্রন্ট অথবা তাদের সহযোগীরা অথবা তাদের সমর্থিতরা লড়ছেন, কাজেই সব বুথে ভোট হবে। এতেই তৃণমূল বিজেপি’র বুক ধরফর করছে। তাই রাজনীতিতে বামপন্থীদের স্বাধীন পরিসর চাপা দিতে মিথ্যা প্রচার করছে। পাটনার বৈঠক দেখিয়ে একদল প্রচার করছে যে তৃণমূলের সঙ্গে বামেদের জোট হয়ে গেছে, আরেকদল রাম বাম জোট বলে বিজেপি’র মিছিলে লালঝাণ্ডা খুঁজছে। গণশক্তি পত্রিকার সংবাদকেও বিকৃত করে ফেক নিউজ প্রচার করা হয়েছে সোসাল মিডিয়াতে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সেলিম সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, পাটনা বৈঠকে কোনো জোটের কথা হয়নি। রাজ্যে রাজ্যে বাস্তব পরিস্থিতি অনুযায়ী বিজেপি’র ফ্যাসিবাদী আক্রমণের বিরুদ্ধে, জনজীবনের দুর্দশা নিয়ে লড়াই হবে। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল এবং বিজেপি’র বিরুদ্ধে লড়াই হচ্ছে, ভবিষ্যতেও তাই হবে। এরাজ্যে নবান্নের দুর্নীতি দুষ্কৃতীরাজ থেকে ছাপান্ন ইঞ্চি মানুষকে বাঁচাবে না। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে যারা বিজেপি’র হয়ে জিতেছিল তারা তো তৃণমূলে চলে গেছে। তৃণমূলের জন্মের পর মমতা ব্যানার্জি নিজেই বলেছিলেন বিজেপি’কে নিয়ে মহাজোট করে বামপন্থীদের হঠাবেন। আর বিজেপি যখনই বিপাকে পড়ে তখনই ঝাঁপি থেকে মমতা ব্যানার্জিকে বের করে আনেন। এখনও তারা তৃণমূলকে দিয়ে জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী শিবিরকে ভাগ করতে চাইছে।
Comments :0