MD SALIM AIAWU

দুই শক্তিকে রুখতে জাগছে গ্রাম: খেতমজুর সমাবেশে সেলিম

রাজ্য জেলা

Md Salim হাওড়ায় সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন মহম্মদ সেলিম।

দীপাঞ্জনা দাশগুপ্ত দে
সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন, তার আগেই গ্রাম জাগছে। গ্রামের মানুষ তৃণমূলকে হঠাতে তৈরি হচ্ছেন। লড়াইটা শুধু তৃণমূলের বিরুদ্ধে নয়, সঙ্গে দোসর রয়েছে বিজেপি। এই দুই শক্তির বিরুদ্ধে সারা ভারত খেত মজুর ইউনিয়নের প্রকাশ্য সমাবেশ থেকে আরও শক্তিশালী লড়াই গড়ে তোলার বার্তা দিলেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। শুক্রবারের সমাবেশের জন্য প্রশাসন বড় মাঠ দেয়নি, বারবার বলেছেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সেই প্রসঙ্গেই সেলিম বলেন, ‘‘মমতা ব্যানার্জি ও তার পুলিশ ভয় পেয়েছে। প্রস্তুতি পর্ব দেখেই ভয় পেয়েছে। রুটি রুজির প্রশ্নে, মজুরির প্রশ্নে, বাসস্থানের প্রশ্নে, শিক্ষার প্রশ্নে, চিকিৎসার প্রশ্নে গ্রাম থেকে আজ মানুষ এসেছেন’’। এদিন মাঠের বাইরেও বহু মানুষ দাঁড়িয়ে শুনেছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, মহম্মদ সেলিম, খেতমজুর ইউনিয়নের নেতা বি বেঙ্কটের ভাষণ। সেলিম বলেন, ‘‘মমতা ব্যানর্জী ও তার পুলিশ হয়তো মাঠের সাইজ ঠিক করতে পারে কিন্তু মানুষের ঢল আটকাতে পারে না।’’ প্রকাশ্য সমাবেশ তখন দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়েছে। মাঠে তখন ভিড়। বাঙালি শ্রোতাদের সঙ্গে ছিলেন বহু অবাঙালি শ্রোতাও, তাঁদের উদ্দেশ্যে হিন্দিতেও বক্তৃতা রাখেন সেলিম। বিজেপির প্রসঙ্গে ত্রিপুরা, জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখের প্রসঙ্গ ব্যাখ্যা করেন সেলিম। তিনি বলেন, ‘‘এই সব রাজ্যের মানুষেরা বুঝতে পেরেছেন বিজেপি কি। সেই সব রাজ্যের মানুষের আজ নাগরিক স্বাধীনতা নেই। কথা বলার অধিকার নেই। কাশ্মীরে রাজনৈতিক নেতাদের বাড়িতে আটকে রাখা হয়। লাদেখে সোনাম ওয়াংচুক প্রতিবাদ করলে তাঁকে গৃহবন্দি করা হয়। সেই একই পরিস্থিতি বাংলায়। প্রতিবাদ করলে শিক্ষকদের পেটানো হয়। সরকারি কর্মচারীরা ডিএ চাইলে তাঁদের মুখ্যমন্ত্রী বলেন ‘ঘেউ ঘেউ করবেন না‘। ছাত্র যুবরা মিছিল করলে মারধর করে পুলিশ। দু’বছর আগে মইদুলকে মেরেছে। আনিস খান যেহেতু আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি বিক্রি আটকে ছিল, তাই তাঁকে বাড়িতে ঢুকে মেরেই ফেলে এই হাওড়া পুলিশ।’’ সেলিম বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে গ্রামের মানুষ জাগছেন। মমতা ব্যানার্জির সরকারের বিরুদ্ধে জাগছেন।’’

Comments :0

Login to leave a comment