CONGRESS WORKING COMMITTEE

কাজে, দামে ব্যর্থ মোদীর দেশজুড়ে মদত হিংসায়, বৈঠকে খাড়গে

জাতীয়

CONGRESS WORKING COMMITTEE হায়দরাবাদে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে খাড়গে।

পরপর হিংসার ঘটনায় ভারতের আধুনিক, প্রগতিশীল এবং ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তিতে আঘাত আসছে। বিজেপি উত্তেজনা উসকে চলেছে। জনতার জীবনের সঙ্কট ঢেকে রাখার চেষ্টা করছে বিজেপি। তার বিরুদ্ধেই লড়াই করবে ‘ইন্ডিয়া’।

শনিবার হায়দরাবাদে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বর্ধিত অধিবেশনের শুরুতেই এই লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছেন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তেলেঙ্গানার রাজধানী শহরে ওয়ার্কিং কমিটির বর্ধিত অধিবেশনে লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে আলোচনা চলছে এ বছরের শেষে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন নিয়েও। ওয়ার্কিং কমিটি পুনর্গঠনের পর এই প্রথম হচ্ছে বৈঠক। 

সভাপতির ভাষণে খাড়গে বলেছেন, ‘‘প্রতিশ্রুতি মেটাতে পারছে না বিজেপি সরকার। জিনিসের দাম, কাজের সুযোগের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে পুরোপুরি ব্যর্থ। মণিপুরে হিংসা থামাতে পারেনি। আর্থিক বৈষম্য বাড়ছে। কৃষক এবং শ্রমিকের জীবনমান নামছে।’’ 

এই সরকারকেই দেশজুড়ে হিংসায় মদত দেওয়ার জন্যও দায়ী করেন খাড়গে। তিনি বলেন, ‘‘মণিপুরে একের পর এক বেদনাদায়ক ঘটনা সারা দেশ দেখছে। মোদী সরকার মণিপুরের হিংসা চলতে দিয়েছে যাতে হরিয়ানার নুহেও এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। 

১ সেপ্টেম্বর মুম্বাই বৈঠকের পর বিরোধী ২৭টি দলের মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’ ঘোষণা করেছিল যে জনগণনা এবং জাতভিত্তিক জনগণনার দাবি জোরালো করা হবে। কংগ্রেস সভাপতি বৈঠকে জানিয়েছেন যে দেশজুড়েই এই দাবিকে জোরালো করবে কংগ্রেস। ২০১১ সালে শেষ জাতভিত্তিক এবং আর্থ সামাজিক জনগণনার ফল প্রকাশ করা হয়েছিল। সে সময়ে কেন্দ্রে আসীন ছিল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট। আবাস যোজনার মতো একাধিক প্রকল্পে এই তালিকার নিরিখে উপভোক্তা ঠিক হয়। দশ বছরের বেশি সময়ে নতুন সমীক্ষা না হওয়ায় যোগ্য উপভোক্তার নাম তালিকায় নেই। 

এবারই দেশে প্রথম, করোনা মহামারীকে কারণ দেখিয়ে, জনগণনা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। ২০২১ সালেই প্রকাশ হওয়ার কথা ছিল জনগণনার রিপোর্ট। খাড়গে মনে করিয়েছেন যে প্রতি দশ বছর অন্তর জনগণনায় কেবল জনসংখ্যাই হিসেব করা হয় তা নয়। তিনি বলেছেন, ‘‘স্বাস্থ্য, শিক্ষা বা খাদ্য সুরক্ষার মতো জরুরি তথ্য উঠে আসে জনগণনায়। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সেই সমীক্ষাও বন্ধ করে রেখেছে।’’

বৈঠক শুরুর আগে দলের নেতা এবং সাংসদ রাহুল গান্ধীও বলেছেন জনজীবনের সঙ্কট নিয়ে প্রচারকে গুরুত্ব দেবে কংগ্রেস। ‘ইন্ডিয়া’-র বৈঠকে বামপন্থীরা জোর দিয়েছেন বেকারি, মূল্যবৃদ্ধি এবং দুর্নীতির হাত ধরে জনতার অর্থ নয়ছয়ের প্রচার করা জরুরি। 

গত ১৪ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে মঞ্চের সমন্বয় কমিটির বৈঠকে ঠিক হয় যে অক্টোবরের গোড়ায় মধ্য প্রদেশের ভোপালে জনসভা হবে। তবে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা কমলনাথ শনিবার জানিয়েছেন যে ওই সময় জনসভা হচ্ছে না। 

Comments :0

Login to leave a comment