বিশাল কাইথের হাতেই ফের একবার বৈতরনি পার হল সবুজ মেরুনের । পেনাল্টি শুট আউটে বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে আরো এক ডুরান্ড কাপের ফাইনালে উঠে গেলো মোহন বাগান ৯০ মিনিটের শেষে খেলার ফলাফল ছিল ২ - ২ । বেঙ্গালুরুর গোলদাতা সুনীল ছেত্রী ( ৪২ মিনিট ) , ভিনিথ ( ৫০ মিনিট ) এবং মোহনবাগানের গোলদাতা পেট্রাটস ( ৬৯ মিনিট ) , থাপা ( ৮৪ মিনিট ) ।
কঠিন প্রতিপক্ষ হওয়ায় প্রথম থেকেই পেট্রাটসকে দিয়ে শুরু করেছিলেন মলিনা। মোহন কোচ মলিনা দল সাজিয়েছিলেন ৩ - ৫ - ২ ছকে । স্ট্রাইকারে ছিলেন কামিংস ও পেট্রাটস । বেঙ্গালুরু কোচ জারাগোজার পরিকল্পনা বেশ স্পষ্ট ছিল। ম্যাচের প্রথম থেকেই মোহন দুর্গে আক্রমণ শানাতে থাকে সুনীলরা । প্রতি আক্রমণেই খেলছিলেন মলিনা ব্রিগেড। ডিফেন্ডার টম আলড্রেডের ভুলে পরে পাওয়া চোদ্দআনার মতো বল পেয়ে গেছিলেন সুনীল। কিন্তু মোহনবাগান ডিফেন্ডার আলবার্তোর বুদ্ধিমত্তায় রক্ষা পায় মোহনবাগান। প্রথমার্ধেই শুভাশীশের চোট লাগার ফলে ফোর্স চেঞ্জ করতে বাধ্য হন মলিনা। তার জায়গায় নামেন দিপেন্দু। ম্যাচের ৪১ মিনিটে লিস্টন বক্সে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় বেঙ্গালুরু। যদিও বিতর্ক রয়েছে পেনাল্টির ব্যাপারে । বক্সের কিছুটা বাইরে ফাউল হলেও রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন । পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি সুনীল। গোল খাওয়ার পরেও ক্রমাগত আক্রমণ শানাতে থাকে মোহনবাগান। প্রথমার্ধের শেষে দুটো শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে মোহনবাগানের ।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫০ মিনিটের মাথায় আপুইয়ার ভুল ব্যকপাসের জেরে ফের একবার গোল করে এগিয়ে গেলো বেঙ্গালুরু । এইবারের গোলদাতা বছর ১৯ এর ভিনিথ । দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দ্বিতীয় গোল খেয়ে যাওয়ায় কোচ তড়িঘড়ি নামান স্টুয়ার্ট ও অভিষেককে । স্টুয়ার্ট নামার পরেই ঝাঁঝ বাড়লো মাঝমাঠে। ম্যাচের ৬৯ মিনিটে মানভীরকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় মোহনবাগান । পেট্রাটসের গোলে ব্যবধান কমায় সবুজ মেরুন। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে পেট্রাটসের কর্নার থেকে ফিরতি বলে অনিরুদ্ধ থাপার দুরন্ত ভলি শটটির কোনো জবাবই ছিলনা গুরপ্রিতের কাছে। ৯০ মিনিটের শেষে খেলার ফল ২ - ২ হওয়ায় সরাসরি টাই ব্রেকারে যায় ম্যাচ।
পেনাল্টি থেকে প্রথমে গোল করে এগিয়ে দেন কামিংস
মেন্দেজ ১ - ১ করেন ।
মানবীর করেন ২ - ১
রাহুল ভেকে সমতা ফেরান ২ - ২
লিস্টন করেন ৩ - ২
জোভানবিচ করেন ৩ - ৩
পেট্রাটস এগিয়ে দেন ৪ - ৩
হলিচরনের শট ঝাপিয়ে পড়ে বাঁচিয়ে দেন বিশাল ৪ - ৩
গ্রেগের কাছে গোল করে জয় দেওয়ার সুযোগ থাকলেও তার শট বাঁচিয়ে দেন গুরপ্রিত ৪ - ৩
বেঙ্গালুরুর শেষ শট ফের একবার বাঁচিয়ে নায়ক বনে যান বিশাল। আইএসএল ২০২২ এর স্মৃতি ফেরালেন বিশাল ।
সাংবাদিক সম্মেলনে এসে কোচ মলিনা জানালেন যে রেফারির বেশ কিছু সিদ্ধান্ত তাদের অনুকূলে না গেলেও তাদের পাখির চোখ এখন ফাইনালে । দল ফাইনালে ওঠায় ম্যানেজমেন্টের ব্যাপারে ভুয়সী প্রশংসা করে গেলেন মলিনা। মলিনা একজন প্রাক্তন গোলরক্ষক হওয়ায় যথেষ্ঠ সাহায্য করেন তিনি। জাতীয় দলে জায়গা না পেলেও সেই ব্যাপারে কোনো দুঃখ নেই। তাই নিজেকে আরো বেশি উদ্বুদ্ধ করছেন বিশাল। ১৮ নম্বর ডুরান্ড কাপ ছুঁতে মোহনবাগানকে টপকাতে হবে নর্থইস্টের ব্যারিকেড ।
Comments :0