নতুনপাতা
মণ্ডা মিঠাই
সাইকেল শেখার অ্যাডভেঞ্চার
অনির্বান দাস
সাইকেল চালানো শিখি চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ার সময়। আমার বয়স নয় বছর। বাবার সাথে সকাল সকাল উঠে বড় মাঠে চলে যেতাম। বাবা সাইকেলের পিছনে ধরে রাখত, আমি চালাবার চেষ্টা করতাম। কিন্তু আমি কখনও ডান-দিকে,
কখনও বাম-দিকে হেলে পরতাম। আমার মোটাসোটা চেহারার জন্য বাবাও সবসময় সাইকেল ধরে রাখতে পারত না।
কতবার যে পড়ে গেছি গুণে রাখি নি, হাত-পা ছড়ে গেছে, রক্ত বেড়িয়েছে। বেশি কাটে কনুই, হাঁটু। তার পর আস্তে আস্তে সোজা সাইকেল চালাতে শিখে গেলাম। বুঝলাম ডানদিকে হেলে যাবার সম্ভাবনা থাকলে হ্যান্ডেল বাম দিকে সামান্য
ঘোরাতে হবে, বামে হেললে ডানদিকে ঘোরাতে হবে । কতটা ঘোরাতে হবে সেটা নিজের অভিজ্ঞতায় বুঝতে হবে, এ কাজটা মগজের কম্পিউটার অটোমেটিক ভাবে করে।
সাইকেল চালানোয় একটা কঠিন কাজ - সাইকেলে ওঠা-নামা। প্যাডেলে পা-দিয়ে চাপ দিয়ে গতি থাকতে থাকতে মাটি থেকে অপর পা তুলে পরে সেই পায়ে প্যাডেলে চাপ দিতে হয়। দীপ-দা আমাকে সাইকেলে ওঠা নামা শেখায়।
একদিন সাহস করে বড় রাস্তায় উঠে এলাম, বড় রাস্তায় ডান-দিকে বাম-দিকে মোড় ঘোরানো একদিন আয়ত্ত্বে এসে গেল।
এখন আমি খুব ভাল সাইকেল চালাতে পারি, সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যাই। হ্যান্ডেল না ধরে চালাতে পারি, সামনের রডে এবং পিছনের ক্যারিয়ারে দু’জনকে বসিয়ে চালাতে পারি।
ছুটির দিনে বন্ধুদের সাথে সাইকেল চালানো আমাদের মজার খেলা।
Comments :0