CPI(M) PURBA MEDINIPUR

দলদাস হয়ে নয়, সংবিধান মেনে ভোট করাতে হবে

রাজ্য জেলা

নিমতৌড়ির সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন মহম্মদ সেলিম।

আরজুনা বিবি আবাসের দাবি জানাতে গিয়েছিলেন। নির্মম মার মেরেছিল পুলিশ। সিপিআই(এম) দপ্তরে ঢুকে গিয়েছিল বাহিনী। আর হাওড়ায় সাম্প্রদায়িক হিংসা ঠেকানোর সময় এই পুলিশ নীরব দর্শক হয়ে গেল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই দুমুখো নীতি চালানো যাবে না। সংবিধান মেনে কাজ করতে হবে পুলিশ এবং প্রশাসনকে। 

পূর্ব মেদিনীপুরের নিমতৌড়ির সভায় এই মর্মে জেলা প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সিপিআই(এম)। সোমবার জেলা শাসকের দপ্তরে একাধিক দাবিতে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। 

সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পদাক মহম্মদ সেলিম পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘‘দলদাস হয়ে লাভ নেই। নিজেকে এবং ভাইপোকে বাঁচাতে বাংলার মানুষকে দোষী করছেন মমতা ব্যানার্জি। পুলিশ তো কোন ছার!’’ পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আপনারা সংবিধান মেনে কাজ করবেন। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে সুরক্ষা দিতে হবে।’’

হাওড়ায় সাম্প্রদায়িক অশান্তি হবে জেনেও মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে ছিলেন না কেন, প্রশ্ন তোলেন সেলিম। ধরনার জন্য মমতা ব্যানার্জি সেই সময়কেই বেছে নিলেন। তারপর দায়ী করলেন পুলিশকে। 

গতবারের নির্বাচনের প্রসঙ্গ তোলেন সেলিম। বেপরোয়া ভোট লুট হয়েছিল সারা রাজ্যে। পূর্ব মেদিনীপুরে নেতৃত্ব দেন, সে সময়ে, তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সেলিম বলেন, ‘‘দুষ্কৃতী দিয়ে প্রশাসনের মদতে ভোট লুটের পাণ্ডা ছিলেন শুভেন্দু। আজ তিনি বিজেপি’তে। এখন বলছেন তৃণমূল খারাপ, সবাই বিজেপি’র সঙ্গে এসে তৃণমূলকে হারাও। সতর্ক থাকতে হবে সকলকে।’’

জনতাকে সেলিম মনে করিয়েছেন বামপন্থীদের ডাকে চোর তাড়ানোর স্লোগান তুলছে গ্রামবাংলা। রেগা থেকে আবাস যোজনার দাবিতে হয়েছে আন্দোলন। শুভেন্দুরা এখন ক্ষোভের ফয়দা নিতে চাইছে। রাজ্যের তৃণমূল আর কেন্দ্রের বিজেপি’র মনোভাবে মিলের পরপর নজির দেন তিনি। সেলিম বলেন, ‘‘তৃণমূল চুরি করলে রাজ্যের পুলিশ সিআইডি ধরবে না। আবার বিজেপি চুরি করলে কেন্দ্রের সিবিআই, ইডি ধরবে না। দু’পক্ষই পাহারা দেবে চোরদের। ক্ষতি হবে আমজনতার।’’ 

সেলিম বলেন, ‘‘দু’পক্ষই জনতার অধিকার কাড়তে চায়। একদল বলেছিল মুখে লিউকোপ্লাস লাগিয়ে রাখতে। আর বিজেপি হিন্দু বনাম মুসলিম, স্কুল বনাম মাদ্রাসা বিভাজনে ব্যস্ত। সারা দেশে এই বিভাজন চালানো হচ্ছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে কারোরই স্বাধীনতা থাকে না। সংখ্যাগুরু-সংখ্যালঘু কারোরই না। শুরু করেছিল মুসলিমদের পোশাক দিয়ে। এখন বিজেপি নেতারা মহিলাদের পোশাক নিয়ে মন্তব্য করছেন।’’ 

Comments :0

Login to leave a comment