MD SALIM MEMARI

‘লুটের পঞ্চায়েত চলবে না বাংলায়’, মেমারীতে আক্রান্তদের কাছে পৌঁছে সেলিম

রাজ্য জেলা

MD SALIM MEMARI রবিবার মেমারীতে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলছেন মহম্মদ সেলিম, আভাস রায়চৌধুরী প্রমুখ।

শঙ্কর ঘোষাল

পঞ্চায়েত ব্যবস্থা আসলে তুলে দিতে চায় তৃণমূল আর বিজেপি। মোদী দেশ চালাবে। দিদি রাজ্য চালাবে। দেশে মোদীর লুট চলবে। রাজ্যে দিদির লুট চলবে। এই হচ্ছে মতলব। কিন্তু মানুষ তা হতে দেবেন না। লুটের পঞ্চায়েত বরদাস্ত করবেন না মানুষ।

রবিবার পূর্ব বর্ধমানের মেমারীতে এ কথা বলেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। মেমারী-২ ব্লকের সারগাছি গ্রামে পঞ্চায়েত ভোটের দিন ভোট লুট আটকাতে গিয়ে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ, কর্মীরা। আক্রান্ত হন গ্রামবাসীরা। রবিবার গ্রামে এসে তাঁদের সঙ্গে বলেন পার্টির রাজ্য সম্পাদক কমরেড মহম্মদ সেলিম। 

সেলিম বলেছেন, ‘‘লুটের পঞ্চায়েত চলবে না বাংলায়। মানুষ নিজের পঞ্চায়েত গড়বে।’’ তিনি জানিয়েছেন, মানুষের পঞ্চায়েত গড়ার লড়াই শেষ হয়নি। আদালতে এবং আদালতের বাইরে চলবে লড়াই।

মেমারীর এই গ্রামে বেছে বেছে তৃণমূল বিরোধী ভোটদাতাদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। কেবল নিজেদের পক্ষে নিশ্চিত, এমন কয়েকজনকে ভোট দিতে দিয়েছে তৃণমূল। সিপিআই(এম) বলেছে, পুলিশ দুষ্কৃতীদের সহযোগী থেকেছে তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের নির্দেশে। ভোটলুট সংগঠিত করায় তৃণমূলের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর কড়া সমালোচনা করেন সেলিম। তিনি বলেন, ‘‘এমন সব মন্ত্রীকে মানুষ চিনে রাখছেন।’’ 

সেলিম বলেন, ‘‘দুষ্কৃতীরাজে মদত দিচ্ছে পুলিশ। মানুষের ঘৃণা বাড়ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করতে পারছে না। মালদহে বিবস্ত্র করা হলো দুই মহিলাকে। পুলিশ, সিভিক পুলিশ কিছু করতে পারল না।’’ তিনি বলেন, ‘‘আমরা চাই না আমাদের রাজ্য মণিপুর হোক।’’ 

সিপিআই(এম)’র এই পলিট ব্যুরো সদস্য বলেন, ‘‘সারা দেশে হিন্দু বনাম মুসলিম, আদিবাসী বনাম তপসিলি, এক জনগোষ্ঠীকে আরেক জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছে বিজেপি-আরএসএস। ভোটের ফয়দা তুলতে এমন জঘন্য কৌশল। আর বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ-প্রশাসন মদত দিচ্ছে হিংসায়। আমাদের রাজ্যে তৃণমূলও এই রাজনীতি করছে। অরাজকতা তৈরি হয় এভাবেই।’’  

রবিবার সেলিমের সঙ্গে ছিলেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আভাস রায়চৌধুরী, পূর্ব বর্ধমান জেলার সম্পাদক সৈয়দ হোসেনও। ছিলেন পার্টি নেতৃবৃন্দ। 

সেলিম বলেন, ‘‘পুলিশ-প্রশাসনে ওপরতলার কয়েকজন আধিকারিক টাকা নিয়ে দালালি করছে। মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় শামিল হচ্ছে। আর তলার স্তরের সাধারণ সরকারি কর্মী, পুলিশ কর্মীরা মানুষের তীব্র ঘৃণার শিকার হচ্ছেন। উর্দির সম্মান নষ্ট হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা শেষ হয়ে যাচ্ছে।’’

পঞ্চায়েত ভোট সুষ্ঠুভাবে না করতে পারার প্রশাসনিক ব্যর্থতাকে তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। সেলিম বলেন, ‘‘এখনও ভোটের ফলাফল সরকারিভাবে ঘোষণা করা হলো না। কে জিতল কে হারল মানুষ জানল না।’’ তিনি বলেন, ‘‘ভোট লুট, কারচুপির বিরুদ্ধে আমরা হাইকোর্টে যাব। যে বিডিও’রা শামিল, তাদেরও জবাবদিহি করতে হবে। হাইকোর্ট তার সিদ্ধান্ত নেবে। বাইরে জনতার লড়াই চলবে।’’

Comments :0

Login to leave a comment