কেন্দ্রে চলছে দাদার লুট আর রাজ্যে দিদির। এই দুই লুটেরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে না। একমাত্র বামপন্থীরাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার। লুটেরাদের পঞ্চায়েত থেকে সরানোর লড়াই করছে বামপন্থীরা। যে কোনও মূল্যে মানুষের পঞ্চায়েত গঠন করতে হবে।
মঙ্গলবার নদীয়ার তেহট্টে সিপিআই(এম)’র ডাকে জনসভায় এই আহ্বান জানিয়েছেন রাজ্য সম্পাদক এবং পলিট ব্যুরো সদস্য মজম্মদ সেলিম। তেহট্ট উত্তর এরিয়া কমিটির ডাকে রসুন হাটে এই জনসভায় অংশ নেন কয়েক হাজার মানুষ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মানস মন্ডল। ছিলেন সুমিত দে, সুমিত বিশ্বাস, সুকুমার চক্রবর্তী ও রঞ্জিত মন্ডল।
ভয়-ভীতি উড়িয়ে স্থানীয় ছ’টি অঞ্চলের মানুষ সমাবেশে যোগ দেন। এলাকাবাসীদের অভিনন্দন জানান সেলিম।
সেলিম বলেন, অনেক মা-বোনের কোল খালি হয়েছে। আমরা কিছুই ভুলিনি। নদীর বালি, চন্দন কাঠ, তোলাবাজি- কিছুই বাকি রাখেনি তৃণমূল। আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত কলকাতায় এসে নেতাজি সম্পর্কে বক্তব্য রাখছেন। আর দিদি একশো গজ দূরে নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদান করছেন। সাম্প্রদায়িক আরএসএস সম্পর্কে একটি কথাও বললেন না মুখ্যমন্ত্রী। এই হলো আঁতাতের চেহারা।’’
সেলিম বলেন, ‘‘আমাদের ছেলে মেয়েরা সিকিমে কাজে গিয়ে কখনো ব্রিজ কখনো টানেল ভেঙে মারা যাচ্ছে। এখানে কোনো কাজের ব্যবস্থা নেই। আমরা বলছি চোর ধরো জেল ভরো। পুলিশ চোরকে আগলে রেখেছে। পুলিশ যদি চোর ধরতো তা’হলে মানিক ভট্টাচার্য তৈরি হতো না।
বক্তব্য রাখেন জেলা সম্পাদক সুমিত দে, রঞ্জিত মন্ডল, সতীশ সরকার এবং গোলাম রাব্বিও। প্রায় ছয় হাজার জমায়েত ছিলো।
Comments :0