আজ রাতেই বোঝা যাবে ভোট কেমন হবে। যাতে হামলা না হয় নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে। জেলা সীমান্তে, আন্তঃরাজ্য সীমান্তে এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে হবে। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের কয়েক ঘন্টা আগে এই মর্মে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের হয়ে পুলিশ বিরোধী প্রার্থীদের হেনস্তা করছে। ভয় দেখাচ্ছে। প্রার্থীরা এ কথা জানিয়ে সেলিম বলেছেন, ‘‘আমরা চাই মানুষ সকাল থেকে নির্ভয়ে ভোট দেবেন। পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশনকে তা নিশ্চিত করতে হবে।’’
সেই সঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে বলেছেন, ‘‘গণতন্ত্রের পরীক্ষা নেবেন না। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে মানুষের জেদ রয়েছে। তাকে পিছন থেকে ছুরি মারার চেষ্টা করবেন না।’’ তিনি বলেন, ‘‘অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ ভোট করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। নিরাপত্তার দাবিতে বিভিন্ন জায়গায় ভোটকর্মীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। ভোট কর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।’’
রাজ্যে একাধিক জায়গায় সন্ত্রাসের ঘটনা তুলে সেলিম বলেন, ‘‘পুলিশ এবং প্রশাসনের মদত ছাড়া এসব চলতে পারে না। রঘুনাথগঞ্জে প্রার্থীর বাড়িতে হামলা হলো। ব্যবস্তা নেওয়ার জন্য থানা ঘেরাও করতে হলো। চন্ডীতলায় হামলার এক ঘন্টার মধ্যে পুলিশ আসেনি। অভিযোগ পর্যন্ত দায়ের করতে চাইছিল না। শেষে অভিযোগ দায়ের করতে হলেও তার নথি দিতে নারাজ পুলিশ।’’ সেলিম বলেন, ‘‘ভোট প্রক্রিয়ায় কুড়িজনের বেশি মানুষ নিহত হলেন। তার দায় কমিশন, পুলিশ মন্ত্রী এবং সরকারের।’’
কমিশনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘‘ব্যালট পেপারে প্রিসাইডিং অফিসারের সই থাকতে হবে। কমিশন এমন সব নির্দেশ জারি করছে যা আইনে নেই। গোড়া থেকে নকল ব্যালটের সন্দেহ দেখা দিয়েছে। প্রয়োজনে ব্যালটের অডিট হবে, আদালতে যাওয়া হবে।’’
সেলিম স্পষ্ট বলেছেন যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় হয়েছে এমন এলাকা থেকে দুষ্কৃতী জড়ো করার চেষ্টা হচ্ছে। যারা মনেনয়নে বাধা দিয়েছিল, তাদেরই ব্যবহার করা হচ্ছে। সেলিম বলেন, ‘‘আজকের রাত থেকে বোঝা যাবে কালকের ভোট কেমন হবে। দাগী দুষ্কৃতীদের ধরতে হবে। জেলা সীমান্ত সিল করতে হবে। আজ সন্ধ্যা থেকে পুলিশকে খুনোখুনি, সন্ত্রাস কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’’
Comments :0