ভোটের বিচারে ফারাক ৩ শতাংশের কম। কিন্তু রাজস্থানে ২০০ আসনের বিধানসভায় বিজেপি’র তুলনায় কংগ্রেস পিছিয়ে ৪০টির বেশি আসনে।
রাজস্থানে পাঁচ বছর অন্তর সরকার বদলানোর রেওয়াজ রয়েছে। তবু গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম কমানো, চিকিৎসায় ‘চিরঞ্জীবী’-র মতো প্রকল্প হাতিয়ার করে ফের জয়ের আশায় ছিল কংগ্রেস।
রবিবার বেলা ৩টে পর্যন্ত বিজেপি জয়ী এবং এগিয়ে ১১৪ আসনে। প্রাপ্ত ভোটের হার ৪২ শতাংশ। কংগ্রেস জয়ী এবং এগিয়ে ৭০ আসনে। প্রাপ্ত ভোটের হার ৩৯.৩৫ শতাংশ।
ঝালরপাটনে বিজেপি নেত্রী এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া জয়ী। বিজেপি’র দিয়া কুমারী বিদ্যাধর নগর কেন্দ্রে ১ লক্ষের বেশি ভোটে জয়ী। দলের একাংশ তাঁকে সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রীর তালিকায় রাখছে।
মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের অশোক গেহলট সদরপুরা এবং দলের নেতা শচীন পাইলট টঙ্কে বড় ব্যবধানেই এগিয়ে রয়েছেন। বিএসপি জয়ী হয়েছে ২টি আসনে।
এ রাজ্যে গতবার ভাদরা এবং দুঙ্গরগড় কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিল সিপিআই(এম)। ভাদরার বিধায়ক বলওয়ান পুনিয়া বিজেপি প্রার্থীর থেকে ৯৭৭ ভোটে পিছিয়ে রয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৯৪ হাজার ৯৯৬টি ভোট। দুঙ্গরগড়ের বিধায়ক গিরিধারীলাল মাহিয়া বিজেপি প্রার্থীর থেকে ১০ হাজার ভোটে পিছিয়ে। তিনি পেয়েছেন ৪০ হাজার ২২৪টি ভোট। বিকেল ৩টে পর্যন্ত গণনায় কংগ্রেস প্রার্থী এই কেন্দ্রে পেয়েছেন ৪০ হাজার ৩৩টি ভোট।
দাতা রামগড় কেন্দ্রে প্রার্থী সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক অমরা রাম। তিনি পেয়েছেন ১৭ হাজার ৯৪৪টি ভোট। ৮২ হাজার ৯৫১ ভোট পেয়ে এগিয়ে কংগ্রেস প্রার্থী। পিছনের রয়েছেন বিজেপি’র প্রার্থী, প্রাপ্ত ভোট ৭৮ হাজার ১০২।
ধোদ কেন্দ্রে প্রাক্তন বিধায়ক পেমা রাম দ্বিতীয় স্থানে। বিজেপি প্রার্থীর থেকে ১৩ হাজারের কিছু বেশি ভোটে পিছিয়ে তিনি। সিপিআই(এম) এই কেন্দ্রে পেয়েছে ৭১ হাজারের বেশি ভোট। কংগ্রেস পেয়েছে ৩৩ হাজার ৬৩৫ ভোট।
Comments :0