CPIM

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নারায়নগড়ে লাল ঝান্ডার জাঠা মিছিল

জেলা

বাংলা বাঁচাও শ্লোগানে গ্রামে গ্রামে জাগছে লাল ঝান্ডা। রুটি রুজির সংকট অপরদিকে আকাশ ছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধির সময় এসআইআর'র আতঙ্ক তুলে তৃণমূল ও বিজেপির বিভাজনের রাজনীতিকে ধিক্কার জানিয়ে ভাতের লড়াইতে সামিল হলেন শতশত গ্রামের মানুষ, আদিবাসী জনজাতির মানুষ সহ মহিলারা।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নারায়নগড় ব্লকের হেমচন্দ্র কানুগো গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার ১৪টি বুথে লাল ঝান্ডার দীপ্ত শ্লোগান তুলে জাঠা মিছিল হয়। একাধিক গঞ্জে হয় প্রচার সভা। অপরদিকে চন্দ্রকোনাতেও জাঠা মিছিল হয়।
শ্লোগান ওঠে 'রুখে দাও কর্পোরেট স্বার্থ রক্ষার দালাল ও মেরুকরন রাজনীতির দুই দক্ষিনপন্থা শাসক দল তৃণমূল ও বিজেপির বিভেদের রাজনীতি', সামিল হও কাজের অধিকার আদায় ও বাংলা বাঁচাও লড়াই আন্দোলন সহ ন্যাহ্য মজুরী, উচ্ছেদ হওয়া পাট্টাদার বর্গাদারদের জমি উদ্ধার সংগ্রামে।
শ্লোগান ওঠে, হয় কাজ দাও নাহলে নভেম্বর মাস থেকে সমহারে ভাতা দাও। হাইকোর্ট ও সুপ্রিমকোর্ট কাজ চালুর রায় দিলেও এখনও পর্যন্ত সেই কাজ না চালু হওয়ার ঘটনায় রাজ্যে তৃণমূল সরকার ও কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে জনরোষের চেহেরায় মিছিল এগিয়ে চলে। তৃণমূল ও বিজেপি দুই সরকারই গরীব মানুষকে ভাতে মারার চক্রান্ত করেছে সেটিং এর রাজনীতিতে তা রুখে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
পদযাত্রায় দাবী ওঠে ৬০ বছর বয়স হলেই প্রত্যেক শ্রমজীবি মানুষের জন্য মাসে ৩০০০ টাকা পেনশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
সমস্ত গৃহহীন গবীর মানুষের মাথার উপর ছাদ সহকারে গৃহের ব্যবস্থা করতে হবে। শ্লোগান ওঠে, জাত নয় ভাত চাই-ধর্ম নয় কর্ম চাই। নারী-পুরুষ সমকাজে সম মজুরী দিতে হবে এবং ৭০০ টাকা মজুরী আইনি ভাবে ঘোষনা করতে হবে।
কর্পোরেট ও এনজিওর হাতে সরকারী জমি ও বনভূমি তুলে দেওয়ার চলবে না। গরীব মানুষের পাট্টার ব্যবস্থা ও বনাঞ্চলের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। কৃষিতে ভূর্তকী বৃদ্ধি করতে হবে। কৃষকের উৎপাদিত ফসলের লাভ জনক দর দিতে হবে। বাড়তি বিদ্যুৎ বিল প্রত্যাহার করতে হবে। 

Comments :0

Login to leave a comment