অনিল কুণ্ডু : কাকদ্বীপ
কাকদ্বীপে দশম শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত, অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানালো এসএফআই। বুধবার মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে এসএফআই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি প্রতীকঊর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘এর শেষ দেখে ছাড়বো। মৃত ছাত্রের শোকার্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াবে এসএফআই। প্রয়োজনে আইনি লড়াই হবে। রাস্তায় লড়াই হবে। অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।’’
গত ১৬ জুলাই কাকদ্বীপের সুন্দরবন আদর্শ বিদ্যামন্দিরের দশম শ্রেণির ছাত্র তৃণাঙ্কর ধলের দেহ মেলে বাড়িতে। ঘরে সিলিং ফ্যানে গামছা গলায় ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানান পরিবারকে। তাঁর বাড়ি কাকদ্বীপের হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানার স্টিমারঘাট এলাকায়।
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে মৃত ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, অনেক টালবাহানার পর গত ২৭ জুলাই পুলিশ লিখিত অভিযোগ নেয়। এখনো পর্যন্ত কোন তদন্ত করেনি পুলিশ। ঘটনার প্রায় দেড় মাস হতে চললো অথচ পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেনি। একমাত্র সন্তান মেধাবী ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় দিনের পর দিন তাঁকে ব্ল্যাকমেল করা হয়েছে। আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে।
মৃত ছাত্রের শোকার্ত বাবা জয়ন্ত কুমার ধল ও মা মৌমিতা ধল এদিন অভিযোগ করে বলেন, তৃণাঙ্কুরকে স্কুলে যাতায়াতের পথে বিভিন্নভাবে হুমকি, ভীতি প্রদর্শন এমনকি তাঁর সহপাঠীদের সামনে টিউশন পড়তে গেলে অভিযুক্ত অনীক দাস ভয় দেখিয়ে তার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করাতে বাধ্য করে। ওই ঘটনার ভিডিও করা হয়। ওই ভিডিও মোবাইলে হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে ও ইনস্টাগ্রামে ছড়িয়ে দেয় সে। তৃণাঙ্কুরকে স্কুলে যাওয়াও বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। তাঁর উপর মানসিক অত্যাচার করায় সে ভীত ও সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিল। চোখের জল মুছতে মুছতে এদিন তাঁরা বলেন, পুলিশ নিস্ক্রিয়। আমরা অভিযুক্তর কঠোর শাস্তি চাই।
বুধবার এসএফআই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি প্রতীকঊর রহমানসহ এসএফআই জেলা নেতৃত্ব, ডিওয়াইএফআই জেলার এক প্রতিনিধি দল তাঁর বাড়িতে আসেন। ছিলেন সিপিআই(এম) নেতা রাম দাশ, মিত্যেন্দু ভূঁইঞাসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
Comments :0