Md Salim

বিরোধীদের রুখতে যোগী-মমতার মধ্যে ফারাক নেই: সেলিম

জেলা


৫ মার্চ— উত্তর প্রদেশ, ত্রিপুরাতে বিজেপি যা করছে, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলও সেই কাজই করছে। রবিবার শিলিগুড়িতে সাংবাদিকদের একথা বলেছেন সিপিআই(এম)’র রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেছেন, কণ্ঠরোধ করতে উত্তর প্রদেশের যোগী সরকার যেভাবে সাংবাদিকদেরও জেলে পোরে, সেভাবেই পশ্চিমবঙ্গে আইনজীবীকেও গ্রেপ্তার করেছে তৃণমূলের পুলিশ। ভাঙরে তৃণমূল যেভাবে বিরোধীদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে সন্ত্রাস চালিয়েছে, সেভাবেই ত্রিপুরায় ঘরবাড়ি পুড়িয়ে বুলডোজারের রাজনীতি চালাচ্ছে বিজেপি। দুষ্কৃতী আর দুর্নীতিরাজের বিরুদ্ধে মানুষ কিন্তু ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে, সাগরদিঘির উপনির্বাচন তারই প্রমাণ। 
এদিন পার্টির দার্জিলিঙ জেলা কমিটির বৈঠকে যোগ দেন মহম্মদ সেলিম। এরই মাঝে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, তৃণমূল আর বিজেপি’র একই চেহারা প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে বাংলায় ও ত্রিপুরায়। তৃণমূল ত্রিপুরায় গিয়েছিল ওদের সাহায্য করতে। এখন তৃণমূল আর কোনও কথা বলছে না। বিজেপি ত্রিপুরায় বাম ও কংগ্রেস কর্মীদের ঘরে ঘরে আগুন লাগাচ্ছে, রবার গাছে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে। ভাঙড়ে আইএসএফ কর্মীদের ওপরে তৃণমূলের বুলডোজার চালানোর সময় বাংলার মিডিয়া চুপ করে ছিল। গত ১২বছরে ৮৫ হাজার সিপিআই(এম) কর্মীর নামে মিথ্যে মামলা করা হয়েছে। ঘরছাড়া করা হয়েছে, জরিমানা করা হয়েছে। সংবিধান বাক্‌স্বাধীনতা দিয়েছে, ঠিক ভুল মানুষ ঠিক করবে। যিনি বই লিখলেন, তাঁকে তো মমতা ব্যানার্জি কিছু বললেন না। এখন আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীকে মিথ্যা মামলা দায়ের করে মধ্যরাতে গ্রেপ্তার করা হলো! পুলিশ প্রতিদিন আদালতে বিচারপতিদের কাছে থাপ্পড় খাচ্ছে, পুলিশ অফিসারদের দলদাসত্ব ছাড়তে হবে। 
সেলিম বলেন, মানুষের জীবনের আসল সমস্যা থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা চলছে। উত্তরবঙ্গের আলু, পেঁয়াজ চাষিরা ফসলের দাম না পেয়ে রাস্তায় ফেলে দিচ্ছে। বেকার ছেলে-মেয়েরা পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছেন। চা বাগানে শ্রমিকরা লড়াই করছেন, বিজেপি আর তৃণমূল মিলে তাঁদের জঙ্গল ও চা বাগানের জমি গিলে খাচ্ছে। এইসব বিষয় থেকে সাধারণ মানুষের নজরকে ঘুরিয়ে দিতে প্রতিদিন কুনাট্য চলছে।
পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সেলিম বলেন, আগে সরকার পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা করুক, ওরা তো নির্বাচন করতেই ভয় পাচ্ছে। সাগরদিঘির ফলাফল দেখার পর তৃণমূল আর বিজেপি’র গোপন আলোচনা করে এমন মামলা মোকদ্দমা সাজাতে চায় যাতে কোনও উপনির্বাচনই হবে না। যেমন মানিকতলার উপনির্বাচন হচ্ছে না। এসব সাজানো খেলা আমরা দেখেছি। আমরাও প্রস্তুতি নিচ্ছি। বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরোধী সব দল, ব্যক্তি, গোষ্ঠী, সামাজিক সংগঠন সহ সব অংশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করা হবে। তাহলেই লুটেরাদের হাত থেকে পঞ্চায়েতকে কেড়ে নিয়ে মানুষের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া যাবে। দুর্নীতি, দুষ্কৃতী রাজের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য বামফ্রন্টে আলোচনা হচ্ছে, বামফ্রন্টে নেই এরকম বাম দলের সাথেও আলোচনা করব, বাম নয় অথচ বিজেপি তৃণমূলের কাছে মাথা নত করবে না এমন দল ও সংগঠনের সঙ্গেও আলোচনা করে সবাইকে একজোট করব।
 

Comments :0

Login to leave a comment