মধ্য প্রদেশে ফের বেকায়দায় বিজেপি। দাতিয়ায় ঊনিশ বছরের এক তরুণীকে দল বেঁধে ধর্ষণ ও তাঁর নাবালিকা বোনের উপর যৌন অত্যাচার চালানোয় অভিযুক্তদের মধ্যে একজন স্থানীয় বিজেপি নেতার ছেলে। পুলিশের কাছে অভিযোগে নাম থাকলেও সেই নেতা-পুত্রকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিনা এখনও স্পষ্ট নয়। এখনও সাবালক নয় বলে তার পরিচয় বা বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি প্রশাসনের তরফে। দলিত নিগ্রহের পর্ব খানিকটা চাপা পড়ার মধ্যেই ধর্ষণকাণ্ডে নাম জড়িয়ে ফের অস্বস্তিতে বিজেপি। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রের নিজের জায়গা দাতিয়াতেই এত বড় এক অপরাধে নাম ওঠায় যথেষ্ট বেকায়দায় বিজেপি। ঘটনা সামনে আসার পর পুলিশ কোনও অভিযোগ নিতে না চাইলে, বড় সংখ্যায় স্থানীয় মানুষ এসে থানার সামনে ধরনায় বসে পড়ে। শেষ পর্যন্ত চাপের মুখে এফআইআর নেয় পুলিশ। নির্যাতিতার নাবালিকা বোনই উনাও থানায় এফআইআর দায়ের করে।
শুক্রবার দুপুরের এই ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত চার অভিযুক্তের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। দুই নাবালককে আটক করেছে। বাকি আরেক অভিযুক্তের খোঁজ চলছে বলে রবিবার জানিয়েছেন উনাও থানার স্টেশন ইন-চার্জ যাদবেন্দ্র সিং গুর্জার। অভিযুক্ত চারজনই উনাও থানা এলাকাতেই থাকে। এদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির প্রাসঙ্গিক আইন ছাড়াও পকসো আইনের অধীনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে অভিযুক্তদের পরিচয় জানায়নি পুলিশ।
শনিবার জেলার পুলিশ সুপার প্রদীপ শর্মা জানিয়েছিলেন, ‘অভিযোগকারী জানিয়েছে, সে ও তার দিদিকে চারটি লোক অপহরণ করে। তারপর অভিযুক্তরা তাদের একটা বাড়িতে নিয়ে যায়, সেখানেই লোকগুলো তার দিদিকে ধর্ষণ করে।’ ঘটনার পর নির্যাতিতা ও তাঁর ছোট বোন বাড়ি ফিরে এসেছিল। সেখানেই নির্যাতিতা আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী উত্তর প্রদেশের ঝাঁসির এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। এখনও তিনি কথা বলার অবস্থায় নেই। এফআইআর অনুসারে, অভিযোগকারী নাবালিকার উপরেও যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে।
বিজেপি’র দাতিয়া জেলা সভাপতি সুরেন্দ্র বুধোলিয়াকে এই ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি ঘটনাটিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন। সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, পুলিশ তো এখনও নির্যাতিতার জবানবন্দিই নিতে পারেনি। নির্যাতিতা যদি পুলিশের কাছে বয়ানে বিজেপি নেতার ছেলের নাম বলে, তখন দেখা যাবে। দল তখন ওই নেতাকে নোটিস দেবে। তারপর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Comments :0