আদানির এখন নতুন করে বিনিয়োগ করার ক্ষমতা নেই। যেদিন থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে নির্বাচনী বন্ডে টাকা দিয়েছে আদানি সেদিন থেকে তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দরের কথা শুরু হলো। তৃণমূলকে টাকা দেওয়ার সঙ্গে জড়িত আদানির তাজপুর।
পশ্চিমবঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর বিনিয়োগ এবং তাজপুর গভীর সমুদ্র বন্দর প্রসঙ্গে সোমবার এই মন্তব্য করেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, ‘‘সরকারকে চ্যালেঞ্জ করছি, রিপোর্ট দিয়ে দেখাক তাজপুরে কতটা গভীরতা আছে।’’
এদিন মুর্শিদাবাদে সাংদাবিক সম্মেলন করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন পার্টির অপর পলিট ব্যুরো সদস্য রামচন্দ্র ডোম এবং জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা।
তিনি মনে করিয়েছেন বামফ্রন্ট সরকারের সময়েই গভীর সমুদ্রে বন্দর গড়ার প্রস্তাব এগিয়ে গিয়েছিল। সাগরের কাছে গভীর সমুদ্রে বন্দরের জন্য প্রস্তাব দিয়েছিল বামফ্রন্ট সরকার। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি জানিয়েছেন যে তাজপুরের জন্য নতুন করে টেন্ডার ছাড়া হবে। এর আগে তৃণমূল সরকার জানিয়েছিল যে তাজপুরে আদানি গভীর সমুদ্র বন্দরে বিনিয়োগ করবে। আবার রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন যে প্রকল্পে আদানিরা আছে। ভিন্ন সুরে বক্তব্য নিয়েই এদিন প্রশ্ন করা হয় সেলিমকে।
সেলিম বলেছেন, ‘‘নদীর নাব্যতা কমেছে। গঙ্গা ধরে সম্পদ নিয়ে গিয়েছে ব্রিটিশ। কিন্তু এখন আর জাহাজ ঢোকে না গঙ্গায়। কলকাতায় নাব্যতা কমেছে বলে হলদিয়ায় বন্দর করা হয়েছিল। আমরা সাগর থেকে আরও ভেতরে যেখানে নাব্যতা আছে সেখানে গভীর সমুদ্র বন্দর চাই।’’
সেলিম বলেন, ‘‘উপকূলের জমি আদানির হাতে তুলে দেওয়া ছিল লক্ষ্য। আমরা বলেছিলাম কলকাতা বন্দর যেমন হলদিয়ায় বন্দর তৈরি করেছিল তেমনই কলকাতা বন্দরই সাগর থেকে আরও গভীরে গিয়ে গভীর সমুদ্র বন্দর করুক।’’
তিনি বলেন, ‘‘তাজপুর চালু করেছে মমতা ব্যানার্জি। নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়করিরা দেশের উপকূলের বেশিরভাগটা আদানিকে দিয়ে দিয়েছে। এখানেও দিতে চাইছে। সেখানে রিসর্ট, পার্লার হবে উপকূলের জমিতে।’’
Comments :0