গ্রামপঞ্চায়েত দপ্তরে বসে ঠিকাদারের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন তৃণমূলের প্রধান। ভাইরাল ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় চাঞ্চল্য। মুখে কুলুপ এঁটে নীরব শাষকদল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ওই প্রধান বলেন টাকা নেওয়ার ছবিটি তাঁর, তবে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে বলে মুখরক্ষার চেষ্টা করেন।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে এক ব্যাক্তি বলছেন, 'এনআরজি'র কাজ করে ফেঁসে আছি। লক্ষ লক্ষ টাকা দেনা নিয়ে কাজ করলেও সেই টাকা কবে পাবো জানি না। সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। আপনি এইটা নিন। এখনকার মতো উদ্ধার করুন। কাজটা আমায় দিন। আপনি তো চলে যাচ্ছেন না। আমরাও আছি। আপনাকে ঠিক দেবো। টাকাতো দিতে হবে।' এমন কথোপোকোথনের ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে শালবনী ব্লকের ৪ নম্বর বাঁকিবাঁধ গ্রামপঞ্চায়েত দপ্তরে বসে টাকা নিচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেস দলের নেতা ও গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান ধনঞ্জয় মাহাত।
আবাস যোজনা, একশদিনের কাজে জবকার্ড, লক্ষীর ভান্ডার সহ সামাজিক সুরক্ষার ভাতা গুলোতেও কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে। এবার তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের টাকা নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ায় শাসকদল বেকাদায় পড়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে।
মেদিনীপুর সংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা বিধায়ক সুজয় হাজরা সাংবাদিকদের প্রশ্নতে বলেন, "তাঁকে দলের তরফে পুরো বিষয় জানতে চাওয়া হবে। ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে দলীয় স্তর এবং প্রশাসনিক স্তরে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
‘গণশক্তি’ ভিডিও’র সত্যতা যাচাই করেনি।
মেদিনীপুরের তৃণমূল প্রধানের টাকা নেওয়ার ভাইরাল ভিডিও প্রসঙ্গে সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, "তাকে যদি জিজ্ঞাসা করেন তৃণমূল করছেন কেন? তিনি বলবেন, টাকা রোজগার করার জন্য করছি। তিনি বলবেন যে আমি আগে টাকা খরচ করে প্রধান হয়েছি। তাই এখন টাকা রোজগার করছি। মমতা ব্যানার্জি তৃণমূল আর বিজেপি মিলে এই নতুন মডেল তৈরি করেছে। রাজনীতি করো আর করে খাও। শুধু ৭৫ শতাংশ পাঠিয়ে দাও কালীঘাটে, তা হলেই হবে।"
Comments :0