সমালোচনার মুখে সাংবাদিকদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলল টুইটার। সোশাল মিডিয়া সংস্থার মালিক এলন মাস্ক যদিও সমালোচনায় পিছনোর বিষয়টি আড়াল করেছেন। তাঁর যুক্তি টুইটার ব্যবহারকারীদের মতামতের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস, সিএনন, ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিকরাও ছিলেন নিষেধাজ্ঞার মধ্যে। বিপুল ধনী মাস্ক টুইটার কিনে নেওয়ার পর থেকেই একের পর এক বিতর্ক চলছে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া সাংবাদিকদের প্রায় সবাই নানাভাবে মাস্কের সমালোচক।
নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তে কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘ। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন টুইটারের ওপরই পালটা আর্থিক নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি দেয়। রাষ্ট্রসঙ্ঘের আন্ডার সেক্রেটারি মেলিসা ফ্লেমিংও কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, খুশি মতো সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া যায় না। বিষয়টি মোটেই ভাল চোখে দেখা হচ্ছে না।
মাস্কের দাবি, নিষেধাজ্ঞা ঠিক না ভুল, সমীক্ষা করতে ভোট নেওয়া হয়। টুইটার ব্যবহকারীদের যাঁরা ভোটে অংশ নিয়েছেন তাঁদের ৫৯ শতাংশ নিষেধাজ্ঞা তোলার পক্ষে। তাই এই সিদ্ধান্ত।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদগোষ্ঠী যদিও জানাচ্ছে যে সবার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তোলেননি মাস্ক। বেশ কিছু টুইটার হ্যান্ডেল ব্লক করা রয়েছে। তার মধ্যে কুড়ি বছরের এক মার্কিন নাগরিক নিয়মিত মাস্কের জেটবিমানের ওঠানামা সম্পর্কে তথ্য দিতেন।
Comments :0