Dattapukur murder case

দত্তপুকুর খুন কাণ্ডে মহিলা সহ ধৃত দুই

জেলা

ছবি প্রতিকী

দত্তপুকুর খুন কাণ্ডে বুধবার সন্ধ্যায় নিহত যুবক হজরত লস্করের মামাতো ভাই ওবায়দুল গাজী (৩০)কে গ্রেপ্তার করেছিল দত্তপুকুর থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার এক মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে,ধৃত মহিলার নাম পূজা দাস ওরফে নিশা। এই নিয়ে দত্তপুকুর যুবক খুনে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দু'জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ত্রিকোণ প্রেম সহ কয়েকটি কারণে ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই হজরত লস্কর (২৬) কে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে বলেই ধৃত ওবায়দুল গাজীকে জেরা করেই জানতে পেরেছে দত্তপুকুর থানার পুলিশ। ধৃতদের বৃহস্পতিবার বারাসত আদালতে তোলা হলে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
হজরত খুনের সঙ্গে শুধু ওবায়দুল নয়, আরও কয়েকজন যুক্ত রয়েছে।ধৃতকে জেরা করে ইতিমধ্যেই কয়েকজনের নাম পেয়েছে পুলিশ। বাকি অভিযুক্তদের মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে এবং নিজেদের সোর্সকে কাজে লাগিয়ে তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে দত্তপুকুর থানার পুলিশ। ধৃতকে জেরা করে  হজরত লস্করের কাটা মুন্ডু এবং খুনে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্রের খোঁজ করছে পুলিশ।

গত রবিবার গভীর রাতে দত্তপুকুর থানার মালিয়াকুর এবং বাজিতপুর গ্রামের মধ্যবর্তী অংশে কৃষি জমির ভিতরে হজরত লষ্করকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। খুনের আগে ওখানে বসেই হজরতকে প্রচুর পরিমাণে মদ্যপান করানো হয়েছিল। বেঁহুশ হওয়ার পরেই মুন্ডু কেটে তাকে খুন করা হয়েছে। হজরতের যৌনাঙ্গের উপরের অংশে ক্ষত ছিল। তাঁর হাত এবং পা বাঁধা অবস্থাতেই আততায়ীরা কেরোসিন ঢেলে দেহ পোড়ানোর চেষ্টাও করেছিল। কিন্তু কেরোসিন কম থাকায় দেহ অর্ধ দগ্ধ অবস্থায় রেখে হজরতের কাটা মুন্ডু নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। মুণ্ডুহীন অবস্থায় দেহ উদ্ধার হওয়ায় মৃতদেহ শনাক্ত করতে হিমশিম খেতে হয়েছে তদন্তকারীদের। পুলিশ কুকুর এবং ক্রাইম স্পট থেকে ৭০০ মিটার দূরে সুটি খালে ডুবুরি নামিয়েও নিহত যুবকের কাটা মুন্ডু উদ্ধার যায়নি।

Comments :0

Login to leave a comment