প্রতিবাদী চার চিকিৎসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠিয়েছিল পুলিশ। বুধবার মেডিক্যাল কলেজ থেকে মিছিল করে অভয়া মঞ্চ ও জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টর্স। বৌবাজার থানার বাইরে তারা দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখায়। 
আর জি কর আন্দোলনের প্রতিবাদী চিকিৎসকদের সমন পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসক আন্দলোনের নেতা ডাঃ মানস গুমটা, ডাঃ সুবর্ণ গোস্বামী এছাড়াও জুনিয়র চিকিৎসক ডাঃ দেবাশিস হালদার, ডাঃ পরিচয় পান্ডাকে বুধবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। তারপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন চিকিৎসক মহল থেকে প্রতিবাদীরা। তাঁদের দাবি, হেনস্তা করার জন্যই এই সমন পাঠানো। ৮ অক্টোবর ২০২৪ সালে একটি মিছিলে হাঁটার জন্য সমন পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাঃ মানস গুমটা। পুলিশের সাথে কথা বলার সময় তাঁকে প্রশ্ন করা হয় যে, আপনি যে মিছিলে হেঁটেছেন সেই মিছিলের কোনও অনুমতি ছিল না, তা আপনি জানেন? উত্তরে মানস গুমটা পুলিশকে জানিয়েছেন যে তখন মানুষ মিছিল খুঁজছিল। ন্যায়বিচারের জন্য পথে নেমেছিল আপামর জনগণ। আমিও সেই একই ভাবে মিছিলে হেঁটেছি। আমি ওই মিছিলের উদ্যোক্তা ছিলাম না। থানা থেকে বেরিয়ে একথা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন তিনি। 
জুনিয়র ডাক্তার পরিচয় পান্ডা বলেন, "তদন্তে সাহায্য করতে আমাদের যতবার ডাকবে ততবার আসব। আমরা কেউ সন্ত্রাসবাদী নই। আমাদের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযোগ রাস্তা আটকানোর, সরকারি কাজে বাধা প্রদান করার। কিন্তু আন্দোলন সংগঠিত করলে কী সরকারি কাজে বাধা প্রদান করা হয়?’’
ডাঃ পবিত্র গোস্বামী বলেন, "আমাদের রাজ্যে প্রশাসন চলছে না, চলছে পুলিশ রাজ। যারা প্রকৃত দোষী তাদের ধরলো না, আর বাজারে মিছিলে হাঁটল, স্লোগান দিল, রাত দখল করলো তাঁদের হেনস্তা করছে। আসলে পুলিশ হেনস্তা করার জন্যই সমন পাঠিয়েছে।’’  
এদিন প্রতিবাদী চিকিৎসক ও জনতা মিছিল করে বৌবাজার থানার সামনে জমায়েত করেন। সেখান থেকেই একটি প্রতিনিধি দল কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মার সঙ্গে দেখা করতে যায়।
RG KAR PROTEST
বিচারের দাবি উঠবেই, পুলিশকে বললেন চার চিকিৎসক
                                    
                                
                                    ×
                                    
                                
                                                        
                                        
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
Comments :0