রবীন্দ্রনাথের বিশ্বভারতী ধ্বংসের মুখে। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বাঁচাতে হবে। বৃহস্পতিবার এই দাবিতেই প্রতিবাদ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা হলো শান্তিনিকেতনে।
সভায় বক্তব্য রাখেন রাজ্য বামফ্রন্টের নেতা বিমান বসু, সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরোর সদস্য ডাঃ রামচন্দ্র ডোম, ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চ্যাটার্জি, আরএসপি'র রাজ্য নেতা মনোজ ভট্টাচার্য, সিপিআই নেতা স্বপন রায়, মার্কসবাদী ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতা আশিস চ্যাট্যার্জি প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক গৌতম ঘোষ।
সাতজন ছাত্রকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী দিয়ে মারধর করে এক বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান বিশ্বভারতীর উপাচার্য শাস্তির মুখে ফেলছেন শিক্ষকদেরও। প্রতিবাদ করলেই শাস্তি!
বিমান বসু বলেছেন, সব স্তরের গণতান্ত্রিক ও শিক্ষানুরাগী মানুষজনকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে নামতে হবে। মিছিলে দাবি উঠেছে ছাত্রদের সাসপেনশন তুলে নিতে হবে।
বোলপুর মহকুমা এলাকার ব্যাপক অংশের ছাত্র, অভিভাবক এবং সর্বস্তরের শিক্ষানুরাগী ও রবীন্দ্রানুরাগী গণতান্ত্রিক মানুষ এদিন জমায়েত হন বোলপুর রেল ময়দানে। সেখান থেকে এর প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে বোলপুর শহর পরিক্রমা করে মিছিল শেষ হয় শান্তিনিকেতনের এসবিআই মোড়ে। সেখানেই হয় বিক্ষোভ সভা।
ডাঃ রামচন্দ্র ডোম বলেন, উপাচার্যের আচরণে ভয় ও সন্ত্রাসের পরিবেশ বিশ্বভারতীতে। বার বার বিশ্বভারতী আইনের সংশোধন করে পরিচালন ব্যবস্থাকে কেন্দ্রীভূত করার পরিণাম এই সাম্প্রদায়িক শক্তির মদতপুষ্ট উপাচার্যের এই আচরণ। তার বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক ও শিক্ষানুরাগী ও সাধারন গণতান্ত্রিক মানুষদের রুখে দাঁড়াতে হবে।
Comments :0