মানুষের রায়ে ভরসা নেই তৃণমূলের। তাই ভোটের দিন ভোট লুট করেছে। এখন ভোট গণনাতেও কারচুপি করতে নামছে। গণনার দিন এমন চেষ্টা হলে কড়া প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে।
সোমবার মুজফ্ফর আহমদ ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। মঙ্গলবার, ১১ জুলাই, রাজ্যের দশম পঞ্চায়েত ভোটের গণনা। তার আগে কমিশনের কাছেও নির্দিষ্ট গণনা সংক্রান্ত দাবি জানিয়েছেন তিনি।
সেলিম বলেছেন, ‘‘টালবাহানার পর ব্যালটের পিছনে প্রিসাইডিং অফিসারের সই বাধ্যতামূলক ঘোষণা করতে হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। কিন্তু গণনার প্রশিক্ষণে বলা হয়েছে সই না থাকলেও হবে। ফলে মঙ্গলবার গণনার দিন টেবিলে গোলমাল পাকাবার চেষ্টা করবে তৃণমূল।’’ সেলিম বলেন, ‘‘ব্যালটে সই থাকতে হবে প্রিসাইডিং অফিসারের।’’
তিনি বলেছেন, ‘‘প্রতিটি ব্যালট আলাদা করে ঢোকানোর কথা বাক্সে। গোছা ব্যালট বাতিল হওয়ার কথা। ভোট জালিয়াতিতে গোছা ব্যালট দেওয়া হয়। গোছা ব্যালট বাতিল করতে হবে গণনার সময়।’’
নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে সেলিমের হুঁশিয়ারি, ‘‘সিসিটিভি রাখতে হবে গণনা কেন্দ্রে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হবে। মনোনয়ন জমার সময় এ দাবি মানেনি কমিশন। গণনার সময় মানতে হবে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হবে।’’
সেলিম বলেছেন, ‘‘সশস্ত্র রক্ষী রয়েছে যাঁদের, গণনা কেন্দ্রে তাঁদের ঢোকা চলবে না। ঢুকতে হলে রক্ষীদের বাইরে রাখতে হবে। বারবার দেখা গিয়েছে এই ‘পিএসও’-দের দিয়ে অবৈধ কাজ করানো হয়।’’
সেলিম বলেছেন, ‘‘যে সব বিডিও বা পুলিশ আধিকারিক তৃণমূলের হয়ে ভোট করাতে চাইছেন, তাঁরা সাবধান। সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হবে। দালাল অফিসারদের ছাড়া হবে না।’’
সেলিম এই প্রসঙ্গে আউশগ্রামে নিহত কমরেড রাজিবুল হকের ঘটনা তুলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘খুনির পিএসও-কে ওই বুথ রক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।’’
সেলিম জানিয়েছেন যে সিপিআই(এম) গণনার দিন জমায়েত রাখবে। তিনি বলেছেন, ‘‘গণনা কেন্দ্র থেকে দূরে জমায়েত করব আমরা। কারণ রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য সরকারের মনোভাব নিয়ে গভীর সন্দেহ রয়েছে।’’
রবিবার রাত থেকেই গণনা কেন্দ্রে কারচুপির ঘটনা সামনে আসতে থাকে। সিঙ্গুরে ব্যালট বাক্স তৃণমূলের দপ্তরে পাঠিয়ে ব্যালট ভরানো, ডোমজুড়ে তৃণমূলের নির্মল মাজি গণনা কেন্দ্রে গেলে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। মালদহের কালিয়াচকে মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনও কড়া বিক্ষোভের মুখে পড়েন।
এক প্রশ্নে সেলিম বলেন, ‘‘গণতন্ত্র ফেরাতে হবে। সংঘবদ্ধ জনতাই তা করবে।’’
সোমবারের পুনর্নিনর্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেখানে ভোট হয়নি সেখানে পুনর্নির্বাচন দিল না কমিশন। তৃণমূলের কথা শুনে দিল। এমন জায়গায় হলো যেখানে মানুষ ভোট দিয়েছেন। ফলে আজ অনেকে বের হননি। মানুষকে ভয় পাচ্ছে বলেই পুনর্নির্বাচনেও হুজ্জুতি করেছে। প্রতিবাদ, অবরোধও হয়েছে।
Comments :0