নরেন্দ্র মোদী সরকারের কৃষক বিরোধী তিন আইন বাতিলের আন্দোলনকারী কৃষকদের নানাভাবেই হেয় করেছেন মোদীর চাটুকার অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। তিনি আবার হিমাচল প্রদেশের মান্ডি থেকে জিতেওছেন লোকসভা ভোটে। সদলবলে সেজেগুজে বৃহস্পতিবার চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে আসেন দিল্লি যাবেন বলে। বিমানবন্দরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক তরুণী সিআইএসএফ জওয়ান কুলবিন্দর কউর চেক-ইনের সময় ঠাঁটিয়ে চড় মারেন কঙ্গনাকে। তারপরই তাকে সাসপেন্ড করা হয়।
কুলবিন্দর জানতেন, একজন জনপ্রতিনিধির গায়ে হাত তুললে তাঁর নিজের ভবিষ্যৎ কী হতে পারে। তিনি সাসপেন্ড তো হবেনই, চাকরি নিয়েও সমস্যা হতে পারে। সব জেনেই বহুদিনের জমে থাকা রাগ-দুঃখ-অপমান নিমেষের মধ্যে মিটিয়ে নিয়েছেন কৃষক পরিবারের সন্তান ওই তরুণী। কুলবিন্দরের মা ছিলেন কৃষক আন্দোলনে। দিল্লির প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যেও খোলা আকাশের নিচে অন্যদের সঙ্গে বসেছিলেন তিনি। আর কঙ্গনা বলেছিলেন, একশো টাকার জন্য এঁরা বসে পড়ে যেখানে-সেখানে। শাহিনবাগ আন্দোলনের মুখ হিসাবে পরিচিত ‘দাদি’ কৃষক আন্দোলনের সময়ও এসেছিলেন। তখনই কঙ্গনা চূড়ান্ত অপমানজনক এই টুইট করেন। সেই সময় তাঁকে আইনি নোটিসও পাঠানো হয়েছিল। বাধ্য হয়ে সেই টুইট মুছেও ফেলেছিলেন কঙ্গনা।
একরাশ ঘৃণা নিয়ে কুলবিন্দর এদিন বলেছেন, ‘ইসনে (কঙ্গনা) বোলা থা না শো শো রুপিয়াকে লিয়ে ব্যাঠতি হ্যায় উহা পে, মেরি মা ব্যাঠতি থি।’
Comments :0