মেমারীতে কোচিং সেন্টারের শিক্ষক এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করে এমন অভিযোগ স্থানীয় মানুষের। এর পর নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে শাসকদলের কাউন্সিলরের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। কিন্তু শাসকদল অভিযুক্তের পক্ষ নিয়ে উলটে নির্যাতিতার পরিবারকে হুমকি দিয়ে চুপ করিয়ে দেবার চেষ্টা করে। পুলিশকে অভিযোগ জানাতেও নিষেধ করে। এই ঘটনায় ক্ষোভ ছড়ায় এলাকার মানুষের মধ্যে তাঁরা দলবদ্ধইভাবে ওই কোচিং সেন্টারে গিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। এরপর পুলিশ নির্যাতিতার হয়ে যাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়ে ছিলেন তাঁদের মধ্যে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে স্থানীয় মানুষের ক্ষোভ চরমমে উঠলে ওই কোচিং সেন্টারের শিক্ষককেও গ্রেপ্তার করা হয়। এতেই পুলিশ ও শাসকদলের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মেমারীর মানুষ।
অভিযুক্ত শিক্ষক ও তাঁর পরিবারের লোকজনকে মারধর এবং বাড়িতে ভাঙচুরের সাজানো মামলা ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃত শিক্ষকের নাম হেমন্ত পরামাণিক। মেমারি থানার সুলতানপুরের দুধপুকুর পাড়ায় তার বাড়ি। সোমবার ভোররাতে তাকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মারধর ও ভাঙচুরে মিথ্যা মামলায় ধৃতদের নাম সোমনাথ হাজরা, সুমিত তাঁতি ও হীরক জানা। মেমারি থানার শ্রীদুর্গাপল্লিতে সুমিতের বাড়ি। বাকিদের বাড়ি মেমারি থানার ডাকবাংলো পাড়ায়। রবিবার রাতে শাসকদলের চাপে তাঁদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের সোমবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে ২২ নভেম্বর ধৃত শিক্ষককে ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দেন সিজেএম। এদিনই ওই ছাত্রীর গোপন জবানবন্দি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নথিভুক্ত করিয়েছে পুলিশ।
Molestation
ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
×
Comments :0